সাউথ সিটি মল'এর প্যান্টালুনস থেকে খান চারেক জিনস বগলদাবা করে এগোলাম ক্যাশ কাউন্টারের দিকে। বাছাবাছি করে একটা ছোট্ট লাইনে দাঁড়ালাম। মিনিট দশেক পরেই বুঝলাম লাইন ছোটর রহস্য। ভীষণ ধীর গতি। সামনের ভদ্রমহিলা স্বাগতোক্তির মতো, 'হোপলেস', 'অপদার্থ', 'কে যে এদের কাজে নেয়...' বলে গজগজ করতে থাকলেন। কাউন্টারের ছেলেটি কিন্তু নির্বিকার ভাবে কাজ করেই চলেছে। অবশেষে ভদ্রমহিলা ছেলেটির সামনে পৌঁছলে সে বিনম্র ভাবে বললো, 'ম্যাডাম, মেশিনটা খুব স্লো রান করছে। আমি কি করি বলুন?' মহিলা কোনও জবাব না দিয়ে সামনে রাখা 'কাস্টমার স্যাটিসফেকশন 'এর ইলেকট্রনিক বোর্ডে বোতাম টিপলেন 'জিরো', কারণ হিসেবে টিপলেন 'বিলিংস'। বেচারা ছেলেটির মুখের হাসিটা মিলিয়ে গেল। গায়ের ঝাল মিটিয়ে মহিলা প্রস্থান করলেন। আমার পকেটের 'প্লাস্টিক মানি'র হাজার ছয়েক খসলেও আমি রেটিংস দিলাম 'দশ', কারণ ওই একই... 'বিলিংস'... ইমটিকন স্মাইলির থেকেও চওড়া হাসি দিয়ে ছেলেটা বলল, 'থ্যাংক ইউ স্যার'।' বিনিপয়সায় মানুষকে খুশি করার এমন সুযোগ কেউ হাতছাড়া করে নাকি...😀 # আনন্দ # খুশি