আমি নিশ্চুপ, তবু তো খুশী ; আমার লেখনী কী আমার সত্তা ছাড়িয়েও বেশী! যদি তাই হয় তবে কবির বন্ধন কেন? কবিতারই বা নেই কেন ডানা? নিভৃতে নির্জনে একলা কাটানো কিছুটা সময়ের পর কেনই বা হ্যাঁচকা টান মারে একঘেয়ে আস্তানা ; কবি ছটফটিয়ে ওঠে, দগ্ধ হয় মনে মনে,বাষ্প জমে বুকের কাছে--- তবু কবিতারা নির্বিকার, যেন স্মিত হাসি মুখে এক দাড়ি কামানো পরিচ্ছন্ন ভদ্রলোক ; কবিতা কী ফুল ফোটায়? মেঘে মেঘে বৃষ্টি আনে? বান্ধবহীন একলা পথে হেঁটে চলে পাশাপাশি? কোই কবির তো সে সব চোখে পড়ে না | কাব্য সভায় কত কত বার পাঠক পাঠিকার সামনে লুটিয়ে পড়ে, কোই কেউ আঁজলা ভরে তো তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে না ; তাকে ধরবেই বা কিভাবে? সে তো মুঠো মুঠো ধুলো-বালি অশ্রুকণা, ভুবনজোড়া অন্ধকার নামলে এক নিরবিচ্ছিন্ন গাঢ় নীলচে কালো জোৎস্না প্রান্তরে পতঙ্গের মতো উড়ে চলে, কবি অনন্তকাল শুধু সেখানে নিজের হাড় পাঁজরের চিতা সাজায়, যদি সে আগুনে কিছু মনোগ্রাহী বর্ণ-অক্ষর ধরা পড়ে... #বর্ণ-অক্ষর