গৃহবন্দী দিনে আমরা ভয়টাকে দূরে সরিয়ে একটু ভেবে নিই এই দিনগুলো আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। পরিবারের সকল সদস্যের সাথে মানিয়ে একসাথে চলছি। মতবিরোধ, মনোমালিন্য হলেও স্বল্প সময়ে সমাধান পাওয়ার চেষ্টা করছি প্রত্যেকে। যে মেয়েটা বিন্দুমাত্র রান্না জানতো না, সে সোস্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে ডিমের ডালনা রান্না করে খুব আনন্দিত, দেড় ঘন্টা সময় ব্যয় তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। আমার ছোটমাসি তাঁর বাষট্টি বছর বয়সে রুটি বেলতে শিখেছেন। আমার বাড়ির কাজে সাহায্য করেন ঝর্নাদিদি। তিনি না আসলে তাঁর অভাব অনুভব করি, অনেক সময় তাঁর গুরুত্বের কথা মুখোমুখি প্রকাশ করেছি। তিনি শুধু হেসেছেন। কিন্তু বন্দীদশার তৃতীয়দিনে যখন ফোন করে বললেন,"আমি কাল তোমার কাছে যাই বৌমনি, তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে" , অনুভব করলাম, ভালোবাসার আন্তরিকতা, গভীরতা। ভালো শিক্ষা নিয়ে এমন আশঙ্কা ও অনিশ্চয়তার দিনে ভালো থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সরে যাক আঁধার, আলোয় উদ্ভাসিত হোক সুস্হ পৃথিবী। #yqbaba #yqdada#yqdadawrite#yqdidi