Nojoto: Largest Storytelling Platform

এক অন্যরকম রথযাত্রা **********************

 এক অন্যরকম রথযাত্রা
**********************
                      ....✒কাজু
©copyright protected

বছর ১৫ এর বিল্টু আজ সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছে তার বাক্স-প্যাটরা নিয়ে। সংসারের অর্ধেক্টা দায়িত্ব তাঁর কাঁধে এই বয়সেই। ৫ বছর বয়সেই তার বাবাকে হারিয়েছে বিল্টু। আর সেই থেকেই সে রাস্তায় রাস্তায় জুতো পালিশ করে বেড়ায় এবং মালতী দেবী (বিল্টুর মা) দু'এক বাড়ির কাজ করে কোনরকম দিন চালাচ্ছে। বাড়িতে থাকার মধ্যে আছে বিল্টুর মা আর তার ছোট্ট আদরের বোন পিঙ্কি, বয়স ৫। আজ রথ, তাই চারিদিকেই উৎসবের একটা বেশ আমেজ রয়েছে। পিঙ্কি কাল তার মা এর সাথে বড়বাবুর বাড়ি গিয়ে বড়বাবুর মেয়ের রথ দেখে এসে দাদার কাছে বায়না জুড়েছে, সেও রথ টানবে বলে। বিল্টু ওর এই ছোট্ট বোনের কথা কখনোই ফেলতে পারে না। তাই আজ সাত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ে ছোট্ট বোনের আবদার পুরণের জন্য উপার্জন করতে। ওদিকে মালতী দেবী আজ অনুষ্ঠান উপলক্ষে অন্যদিনের তুলনায় কিছু আগেই রওনা দেয়, পিঙ্কিকে বাড়িতে রেখে দিয়ে। জানে, বিল্টু আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসবে।

                    এদিকে যথারীতি বিল্টু সকাল থেকে যা উপার্জন করে সেই টাকা দিয়ে বোনের জন্য একটা ছোট রথ কিনে তাকে যতটা সম্ভব সাজিয়ে নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেয়, বেলা তখন ১২টা। মনে মনে ভাবে বোন রথটা পেয়ে খুব খুশি হবে। আর ওর মুখে এই একটু হাসির জন্য বিল্টু সব বাধা ভাঙতে রাজি। বাড়ির সামনে এসে বিল্টু ডাক দেয়, “বনু, বনু,  তাড়াতাড়ি আয় বাইরে, দেখে যা তোর জন্য একটা জিনিস এনেছি....”। পাল্টা কোন সাড়া পায়না। ভাবে, বুঝি বনু ইচ্ছে করে লুকিয়ে আছে। বিল্টু ঘরে ঢোকে... দেখে, রক্তাক্ত ছেঁড়া জামায় তার ছোট্ট বনুর দেহটা লুটিয়ে আছে মেঝেতে। বুঝতে বাকি থাকে না কি হয়েছে... একদল মানুষরূপী পশু ছিঁড়ে খেয়েছে এই নরম ফুল। বিল্টু চোখের সামনে অন্ধকার দেখে.... কাঁপা কাঁপা হাতে বোনের ক্ষত বিক্ষত দেহকে জড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে... যে কান্না কোনোদিন পৌঁছবে না কারোর কানে।
 এক অন্যরকম রথযাত্রা
**********************
                      ....✒কাজু
©copyright protected

বছর ১৫ এর বিল্টু আজ সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছে তার বাক্স-প্যাটরা নিয়ে। সংসারের অর্ধেক্টা দায়িত্ব তাঁর কাঁধে এই বয়সেই। ৫ বছর বয়সেই তার বাবাকে হারিয়েছে বিল্টু। আর সেই থেকেই সে রাস্তায় রাস্তায় জুতো পালিশ করে বেড়ায় এবং মালতী দেবী (বিল্টুর মা) দু'এক বাড়ির কাজ করে কোনরকম দিন চালাচ্ছে। বাড়িতে থাকার মধ্যে আছে বিল্টুর মা আর তার ছোট্ট আদরের বোন পিঙ্কি, বয়স ৫। আজ রথ, তাই চারিদিকেই উৎসবের একটা বেশ আমেজ রয়েছে। পিঙ্কি কাল তার মা এর সাথে বড়বাবুর বাড়ি গিয়ে বড়বাবুর মেয়ের রথ দেখে এসে দাদার কাছে বায়না জুড়েছে, সেও রথ টানবে বলে। বিল্টু ওর এই ছোট্ট বোনের কথা কখনোই ফেলতে পারে না। তাই আজ সাত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ে ছোট্ট বোনের আবদার পুরণের জন্য উপার্জন করতে। ওদিকে মালতী দেবী আজ অনুষ্ঠান উপলক্ষে অন্যদিনের তুলনায় কিছু আগেই রওনা দেয়, পিঙ্কিকে বাড়িতে রেখে দিয়ে। জানে, বিল্টু আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসবে।

                    এদিকে যথারীতি বিল্টু সকাল থেকে যা উপার্জন করে সেই টাকা দিয়ে বোনের জন্য একটা ছোট রথ কিনে তাকে যতটা সম্ভব সাজিয়ে নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেয়, বেলা তখন ১২টা। মনে মনে ভাবে বোন রথটা পেয়ে খুব খুশি হবে। আর ওর মুখে এই একটু হাসির জন্য বিল্টু সব বাধা ভাঙতে রাজি। বাড়ির সামনে এসে বিল্টু ডাক দেয়, “বনু, বনু,  তাড়াতাড়ি আয় বাইরে, দেখে যা তোর জন্য একটা জিনিস এনেছি....”। পাল্টা কোন সাড়া পায়না। ভাবে, বুঝি বনু ইচ্ছে করে লুকিয়ে আছে। বিল্টু ঘরে ঢোকে... দেখে, রক্তাক্ত ছেঁড়া জামায় তার ছোট্ট বনুর দেহটা লুটিয়ে আছে মেঝেতে। বুঝতে বাকি থাকে না কি হয়েছে... একদল মানুষরূপী পশু ছিঁড়ে খেয়েছে এই নরম ফুল। বিল্টু চোখের সামনে অন্ধকার দেখে.... কাঁপা কাঁপা হাতে বোনের ক্ষত বিক্ষত দেহকে জড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে... যে কান্না কোনোদিন পৌঁছবে না কারোর কানে।
kaju1434578276265

Kaju

New Creator

এক অন্যরকম রথযাত্রা ********************** ....✒কাজু ©copyright protected বছর ১৫ এর বিল্টু আজ সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছে তার বাক্স-প্যাটরা নিয়ে। সংসারের অর্ধেক্টা দায়িত্ব তাঁর কাঁধে এই বয়সেই। ৫ বছর বয়সেই তার বাবাকে হারিয়েছে বিল্টু। আর সেই থেকেই সে রাস্তায় রাস্তায় জুতো পালিশ করে বেড়ায় এবং মালতী দেবী (বিল্টুর মা) দু'এক বাড়ির কাজ করে কোনরকম দিন চালাচ্ছে। বাড়িতে থাকার মধ্যে আছে বিল্টুর মা আর তার ছোট্ট আদরের বোন পিঙ্কি, বয়স ৫। আজ রথ, তাই চারিদিকেই উৎসবের একটা বেশ আমেজ রয়েছে। পিঙ্কি কাল তার মা এর সাথে বড়বাবুর বাড়ি গিয়ে বড়বাবুর মেয়ের রথ দেখে এসে দাদার কাছে বায়না জুড়েছে, সেও রথ টানবে বলে। বিল্টু ওর এই ছোট্ট বোনের কথা কখনোই ফেলতে পারে না। তাই আজ সাত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ে ছোট্ট বোনের আবদার পুরণের জন্য উপার্জন করতে। ওদিকে মালতী দেবী আজ অনুষ্ঠান উপলক্ষে অন্যদিনের তুলনায় কিছু আগেই রওনা দেয়, পিঙ্কিকে বাড়িতে রেখে দিয়ে। জানে, বিল্টু আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসবে। এদিকে যথারীতি বিল্টু সকাল থেকে যা উপার্জন করে সেই টাকা দিয়ে বোনের জন্য একটা ছোট রথ কিনে তাকে যতটা সম্ভব সাজিয়ে নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেয়, বেলা তখন ১২টা। মনে মনে ভাবে বোন রথটা পেয়ে খুব খুশি হবে। আর ওর মুখে এই একটু হাসির জন্য বিল্টু সব বাধা ভাঙতে রাজি। বাড়ির সামনে এসে বিল্টু ডাক দেয়, “বনু, বনু, তাড়াতাড়ি আয় বাইরে, দেখে যা তোর জন্য একটা জিনিস এনেছি....”। পাল্টা কোন সাড়া পায়না। ভাবে, বুঝি বনু ইচ্ছে করে লুকিয়ে আছে। বিল্টু ঘরে ঢোকে... দেখে, রক্তাক্ত ছেঁড়া জামায় তার ছোট্ট বনুর দেহটা লুটিয়ে আছে মেঝেতে। বুঝতে বাকি থাকে না কি হয়েছে... একদল মানুষরূপী পশু ছিঁড়ে খেয়েছে এই নরম ফুল। বিল্টু চোখের সামনে অন্ধকার দেখে.... কাঁপা কাঁপা হাতে বোনের ক্ষত বিক্ষত দেহকে জড়িয়ে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে... যে কান্না কোনোদিন পৌঁছবে না কারোর কানে। #story #nojotophoto #bengali_short_stories