লক্ষ্মী রানী গর্ভবতী এখন তখন অবস্থা, খুব সজাগ থাকে সবাই সময় বুঝে ব্যবস্থা। চুপ করে সে থাকে সদাই নিজের কথা বলে না কিছুই মুখ ফুটে শান্তিতে ঘুম হয় না কারোর বারবার তাই দেখে উঠে। সকাল থেকে লক্ষ্মীরাণী খাইনি কোন কুটো, ফুটফুটে ননী শুয়ে আছে ঠিক যেখানে খুঁটো। লক্ষীর রঙ ধবধবে সাদা ননী হয়েছে লাল, খেলার একটা সঙ্গী পেয়ে হাসি এক গাল । ননী শুধুই দুধ খায় খায় না অন্য কিছু, আমার সঙ্গে ভাব জমাতে ঘোরে পিছু পিছু। সকাল-বিকাল কাস্তে নিয়ে দুব্বো ঘাসের জোগাড়, দুই বোনে তে পালা করে আনি নোনীর খাবার। ননীর গলায় ঘন্টি বাধা ঝুমঝুম করে বাজে, কোন তালে তালে যে মুখ দেয় বাঁটে ফেলেছে তাকে ফাঁদে। দুব্বো ঘাস কাটতে গিয়ে কাস্তেতে আঙ্গুল কাটে, খালি পায়ে কখনোবা তিলের খোঁচা ফোঁকে। জলার ধারে অনেক পানা লক্ষী ভালোবাসে, আবার তালের রস খাওয়ালে নাকি দুধে বালতি ভাসে। ঘোষ কাকু আসে না যেদিন দুধের ছানা ক্ষীর, পড়া ছেড়ে বারেবারে রান্নাঘরে ভিড়। এক কড়াই দুধের ওপর মোটা একটা সর, বাটিতে মা তুলে দিলে খেয়ে নিই সরসর। মায়ের ভীষণ হাতে ব্যথা তাই গাই দোয়ার চেষ্টা, পোক্ত যেই হয়ে গেলাম দায়িত্ব পেলাম শেষটা। লক্ষ্মী যখন বুড়ো হলো নিয়ে গেল ব্যাপারী, লাল রংয়ের দুর্গা এসে জায়গা নিলো তারি। দুই বোনে এখন শ্বশুরবাড়ী শূন্য গোয়াল পড়ে, প্যাকেট দুধের আমদানি হয় লক্ষ্মী স্মৃতি জুড়ে। কিম্ভূত .... আজকে সন্ধেবেলায় দিয়ে দিলাম ঠাকুমা রাত জাগা নিয়ে বকাবকি করবে না আমায় আমি এখন ভালো তোমার ভালো মেয়ে হবার চেষ্টা করছি।😀 #পুরোনো_ডাইরি #ছেলেবেলা #অতীত_স্মৃতি