Nojoto: Largest Storytelling Platform

ছেলেটার নাকেচোখে মিশে যাচ্ছে জঙ্গলের গন্ধ।ভিজে দেয়

ছেলেটার নাকেচোখে মিশে যাচ্ছে জঙ্গলের গন্ধ।ভিজে দেয়ালের গা বেয়ে নেমে আসা ডুবে যাওয়ার স্মৃতি এখন মাঝে মাঝে রাতপোশাকের চেয়েও ভয়াবহ চুল টেনে ধরে তার।পাথর ভেঙে ভেঙে গতকাল জন্ম নিলো চাঁদ,তা থেকে লাভার মতো গলগল করে বেরিয়ে এলো তিনদিনের বাসী জ্যোৎস্না,হোমিওপ্যাথিক শিশিতে ভরে তাকে ভাসিয়ে দিয়েছে ছেলেবেলার স্নান করার গামলায়,তাও হয়ে গেল বেশ কয়েক শতাব্দী।

জঙ্গল ভয়ানক একা।যেন দাবার বোর্ড হারিয়ে ফেলা এক ছটফটে বয়স্ক যুবক,আনমনে রদদেনড্রোনের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলছে তারকভস্কি,দু কলি নেরুদা অনায়াসে আছড়ে ফেলছে ওপেনহাইমারএর বিহ্বল সংস্কৃত শ্লোকে আবার পরমুহূর্তেই নতজানু হচ্ছে  বিস্ফোরিত কৃতকর্মের কাছে।জঙ্গল অসামান্য সুখী,তার আরামকেদারার  পাশে পোষা কুকুরের মতো বসে থাকে আনড্রোমিডার ঐশ্বর্য,তার কমে যাওয়া চুলের ফাঁকে খেলা করে গর্ভপাত হয়ে যাওয়া বেওয়ারিশ শিশুরা,বাঁ হাঁটুতে থুতনি রেখে সে আনমনে গুনগুন করে বেঠোফেনের ফিফথ সিম্ফনি,কাকভোরে সে একা একা নিজের মধ্যে দিয়ে নির্দ্বিধায় হেঁটে যাওয়ার স্পর্ধা রাখে।

একদিন তার সঙ্গে দেখা হলো একটা নদীর।নদীটা তখন গোধূলির মৃদু আলোর পিঠে পিঠ ঠেকিয়ে একটু খুচরো যৌনতায় গা ভাসাবে কিনা ভাবছে, ঠিক তখনই তার মধ্যে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়লো টুকরো টুকরো শাখা,নাম না জানা অসংখ্য পাখির বাসা,অজস্র ঘাসফড়িং,লক্ষ লক্ষ ময়ূর আর হরিণ।চন্দ্রাহতের মতো তাকিয়ে রইলো ছেলেটা।তারপর আস্তে আস্তে মাথার পেছনে দু হাত রেখে শুয়ে পড়লো জলের বিছানায়।যেমনটা  আগে থেকেই ঠিক করা ছিল আর কি! তার নেশাতুর আচ্ছন্নতার মধ্যে দিয়ে,অগোছালো শরীরের প্রান্ত থেকে,জমানো যন্ত্রণার মতন, অলৌকিক এক একটা শায়রীর মতন ঝরে পড়তে লাগলো রূপকথার থেকেও সত্যি এক একটা ছিন্নভিন্ন জঙ্গলের অনু-পরমাণু...

#নেভারমাইন্ড #নেভারমাইন্ড
ছেলেটার নাকেচোখে মিশে যাচ্ছে জঙ্গলের গন্ধ।ভিজে দেয়ালের গা বেয়ে নেমে আসা ডুবে যাওয়ার স্মৃতি এখন মাঝে মাঝে রাতপোশাকের চেয়েও ভয়াবহ চুল টেনে ধরে তার।পাথর ভেঙে ভেঙে গতকাল জন্ম নিলো চাঁদ,তা থেকে লাভার মতো গলগল করে বেরিয়ে এলো তিনদিনের বাসী জ্যোৎস্না,হোমিওপ্যাথিক শিশিতে ভরে তাকে ভাসিয়ে দিয়েছে ছেলেবেলার স্নান করার গামলায়,তাও হয়ে গেল বেশ কয়েক শতাব্দী।

জঙ্গল ভয়ানক একা।যেন দাবার বোর্ড হারিয়ে ফেলা এক ছটফটে বয়স্ক যুবক,আনমনে রদদেনড্রোনের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলছে তারকভস্কি,দু কলি নেরুদা অনায়াসে আছড়ে ফেলছে ওপেনহাইমারএর বিহ্বল সংস্কৃত শ্লোকে আবার পরমুহূর্তেই নতজানু হচ্ছে  বিস্ফোরিত কৃতকর্মের কাছে।জঙ্গল অসামান্য সুখী,তার আরামকেদারার  পাশে পোষা কুকুরের মতো বসে থাকে আনড্রোমিডার ঐশ্বর্য,তার কমে যাওয়া চুলের ফাঁকে খেলা করে গর্ভপাত হয়ে যাওয়া বেওয়ারিশ শিশুরা,বাঁ হাঁটুতে থুতনি রেখে সে আনমনে গুনগুন করে বেঠোফেনের ফিফথ সিম্ফনি,কাকভোরে সে একা একা নিজের মধ্যে দিয়ে নির্দ্বিধায় হেঁটে যাওয়ার স্পর্ধা রাখে।

একদিন তার সঙ্গে দেখা হলো একটা নদীর।নদীটা তখন গোধূলির মৃদু আলোর পিঠে পিঠ ঠেকিয়ে একটু খুচরো যৌনতায় গা ভাসাবে কিনা ভাবছে, ঠিক তখনই তার মধ্যে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়লো টুকরো টুকরো শাখা,নাম না জানা অসংখ্য পাখির বাসা,অজস্র ঘাসফড়িং,লক্ষ লক্ষ ময়ূর আর হরিণ।চন্দ্রাহতের মতো তাকিয়ে রইলো ছেলেটা।তারপর আস্তে আস্তে মাথার পেছনে দু হাত রেখে শুয়ে পড়লো জলের বিছানায়।যেমনটা  আগে থেকেই ঠিক করা ছিল আর কি! তার নেশাতুর আচ্ছন্নতার মধ্যে দিয়ে,অগোছালো শরীরের প্রান্ত থেকে,জমানো যন্ত্রণার মতন, অলৌকিক এক একটা শায়রীর মতন ঝরে পড়তে লাগলো রূপকথার থেকেও সত্যি এক একটা ছিন্নভিন্ন জঙ্গলের অনু-পরমাণু...

#নেভারমাইন্ড #নেভারমাইন্ড