Find the Best দেওয়া Shayari, Status, Quotes from top creators only on Nojoto App. Also find trending photos & videos about সান্তনা দেওয়া,
sd
ভালোবাসার ভরে দেওয়া তোমার প্রথম কথাটা- "এই হাত ছাড়বে না তুমি", আজ আমাদের ভালোবাসার এক যুগ তুমি কথা রাখোনি l নীল সাদা রঙে তোমার দেওয়া প্রথম চিঠিটা ,উপহার ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দামি, ভালোবাসার গোধূলিলগ্নে,ওই চিঠির কথাগুলো আজ আর মনে রাখোনি l নিয়মিত ফোন করে জানতে চাইতে,"তুমি খেয়েছ কি"? অনেকদিন হয়ে গেল তুমি আর এ প্রশ্ন করোনি l
SANJAY
~DIRY~ কিছু ফাঁকা পরে থাকা diry এর পাতা, পাশে রবী ঠাকুরের লেখা, স্পেশালি প্রেমে ছেকা খাওয়া পাবলিক দের জন্য বাঁধানো কিছু গান। অল্প খনের জন্য ঠোঁটের আর নিকোটিনের চুম্বন, হুম!!!! ভাবছিলাম তোমার কথা আর তাতেই কম্পিত হলো মন, হাতে উঠলো কলোম, মাথায় ঘুরতে লাগলো কিছু কালো শব্দ, ঠিক যেনো মৃত্যুর জম। তারা চাইছিল ফাঁকা পড়ে থাকা diry এর পাতায় নিজেদের শরীর বিলিয়ে দিতে, চাইছিল ছিন্ন বিন্ন করতে ওই diry এর বুক। হাজারো শব্দ আর কাটিয়ে আসা হাজারো সুখের সময় এর মাঝেও, শয়তান মন খুঁজে বের করলো তোমার দেওয়া মিথ্যে আসার সিন্দুক, খুঁজে বের করলো সেই তোমার দেওয়া প্রতারণা, আর আমার প্রেমে ছেকা খাওয়া দিনের কথা। না এতে হার মানতে চাইনি আমি, চাইনি ভেঙে যেতে, তবুও কেনো জানি না সামনে রাখা diry এর পাতা, রয়ে গেলো ফাঁকা, ভিজে গেলো কেনো ওই diry এর বুক টা। আজও diry এর পাতা রয়ে গেছে ফাঁকা। #diry #sad #poem @nojotobengali #nojotobengali
Dr.Debtanu Banerjee
সালটা ২০১৩ মার্চ মাস ২১ তারিখ দ্বাদশ শ্রেণীর শেষ পরীক্ষাটি দিয়ে এসে - ঘুসঘুসে জ্বর অনুভব করলাম । ভাবলাম শ্রমজ্বর , এতদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল । চুপটি করে ঘুমিয়ে পড়লাম - ঘুম ভাঙলো পরের দিন সকালে । হাত - পা ঠান্ডা , কাঁপ দিয়ে জ্বর আসছে , ১০৩ জ্বর , পরীক্ষা করে দেখা গেল - ম্যালেরিয়া । মেডিকেলের প্রবেশিকা পরীক্ষা সেবার রাজ্যস্তরের জায়গায় আয়োজিত হবে জাতীয় স্তরে - "নিট" নামে । ৫ ই মে পরীক্ষা, আর এক মাস বাকি - জ্বর আর নামছে না,গা ভর্তি বেরিয়ে গেছে লাল লাল র্যাশ । "না ভয়ের কিছু নেই , হয়ত ডেঙ্গু " - ডাক্তারের সান্ত্বনায় বিশ্বাস করে, স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম । কিন্তু জিভ গলা দিয়ে ঘা গুলি কেবলমাত্র ডেঙ্গুর কারণে হয়েছে - এটা মানতে যেন মন কেমন সায় দিতে চাইছিল না । দুঃস্বপ্নটা কেমন যেন সত্যি হয়ে গেল -" এটা ঠিক পক্স না , একে বলে হার্পিস , সাত দিনের কড়া অ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছি - খাও সেরে যাবে !" নিট পরীক্ষার আর মাত্র দু সপ্তাহ বাকি - বলাই বাহুল্য বিগত তিন সপ্তাহে তেমন কিছু খেতে বা কথা বলতেই অসমর্থ আমি , ডাক্তারেরা অসমর্থ আমার রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় করে তার চিকিৎসা করতে । এই অবস্থায় কিছু পড়তে পারবো - এটা কল্পনা করাটাও অনুচিত হত। যাই হোক , কিছু টেস্ট পেপার দাগানো আর পড়া জিনিস চোখ বোলানো - দু একদিন এটা করে কাটাতে কাটাতেই , হঠাৎ একদিন শুয়ে থাকা অবস্থায় পশ্চাৎ দেশে কিরকম যেন একটা অস্বস্তি বোধ করলাম । বেশি চিন্তিত হলাম না - এর আগেও নবম শ্রেণীতে ওখানে কারবাংকেল হয়েছিল - দিদিমা নিজের পুঁজ বের করেছিলেন । কিন্তু এবারের ব্যাধিটা যেন একটু বেশিই কষ্টদায়ক । "পাইলোনিদাল সাইনাস - এবসেস হলে ড্রেন করে দিতাম এখুনি , কিন্তু এটাতে তো অপারেশন লাগবে - চিন্তা করো না পরীক্ষা তো এক সপ্তাহ বাদে । কাল ও. টি. করে দিচ্ছি , এমনিতে পরের দিনই ছুটি করে দেওয়া যায় , কিন্তু তোমার ভারী চেহারা কিনা - দু একদিন আরো ভর্তি থাকতে হতে পারে অবজার্ভেশনের জন্য ।" প্রস্তাবটা খুব লোভনীয় ছিল , রোগটা নির্মূল হত , দুদিন নার্সিং হোমের এ.সি. ঘরে আরাম করে থাকবো , তারপর স্বস্তিতে পরীক্ষা দিতে যাব । তৈরি হতে পারিনি তাতে কি - এবারই তো বোর্ড দিলাম । কত লোক তো কতবার দিয়ে পায় , নাই বা দিলাম ইঞ্জনিয়ারিংয়ের পরীক্ষা , নাই বা তুললাম নামজাদা কলেজে বি . এস. সি ' র ফর্ম - এমনিও তো বাবা বলে দিয়েছেন , পড়লে মেডিকেলই পড়বে - ওসব সাহিত্য, ইতিহাস , দর্শনশাস্ত্রের কোন ভবিষ্যত নেই । ডাক্তার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে নয় লাগবে বছর দশেক - কিন্তু প্রফেসর , লেখক বা ঐতিহাসিক হওয়ার চাইতে অনেক সম্মানীয় তা , আর ত ছাড়া লোকে কি বলবে - তোমার মত ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট জেনারেল লাইনে স্ট্রাগল করছে ! হয়ত তিনি ঠিক ছিলেন , আমি ভুল ছিলাম । আমার থেকে তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক বেশি - তাই তাঁর কথার অমান্য করার সাধ্য ছিল না আমার , আর সেই দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নেওয়ার আর্থিক স্বচ্ছলতাও তো ছিল না আমার তখন । " খালি পেটে কলম চলে না, বুঝলে - ওসব হল বড়োলোক বাবাদের বয়ে যাওয়া সন্তানদের বিলাসিতা মাত্র । নিজের উপার্জনে করো ওসব পাগলামি ।" যাই হোক , দীর্ঘ এক মাস ডাক্তারদের উপর বিশ্বাস করার পর, একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিলাম । পশ্চাৎদেশে ব্যান্ডেজ বেঁধে , জিভে গলায় ওষুধ লাগিয়ে , দাঁতে দাঁত চেপে ব্যথা সহ্য করে পরীক্ষায় বসব - পাড়ি দেব এক অনিশ্চয়তা সম্পূর্ণ "সিকিউর" ভবিষ্যতের দিকে । ডাক্তারি পাব কিনা জানিনা , তবে সেই পথে প্রথম পা বাড়ালাম , ডাক্তারদের নির্দেশ অবমাননা করেই । প্রথম নিট পরীক্ষায় ফিজিক্স প্রশ্ন দেখে অনেক মহারথী ভিরমি খান। আমি তো এমনিও অনভিজ্ঞ ছিলাম - যা মনে হচ্ছিল , তাই উত্তর করছিলাম। মোটামুটি পরীক্ষাটা দিয়ে যখন বেরোলাম , এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজেকে মনে মনে বলেছিলাম , " আসছে বছর আবার হবে !!!" এক মাস বাদে অবশ্য যখন পরীক্ষার ফল বেরোলো, অন্যেদের প্রতিক্রিয়ার সম্পর্কে অবগত না হলেও , নিজে অন্তত বিস্মিত হয়েছিলাম - রাজ্যে ৪১৯ তম স্থান অধিকার করা সত্বেও , অনেকেই বলেছিলেন, " তোমার কাছে এটা প্রত্যাশিত ছিল না - আমরা তো ভেবেছিলাম শ্রেষ্ঠ ১০০ এ তোমার নাম দেখব - যাই হোক , দেখ যদি আর জি কর বা নেশনাল মেডিকেলে পাও , মেডিক্যাল কলেজ তো পাবেনা !" বোর্ড পরীক্ষায় ৯৭ শতাংশ পাওয়া সত্ত্বেও বাবা তেমন কাউকে জানান নি । অনেকে হয়ত ভেবেছিলেন , ফ্লপ করেছে - তাই উচ্চবাচ্য নেই । তবে আমিই জানি , বায়োলজি আর ইংরেজি উভয়েই ৯৭ করে পেতে গেলে , কি ত্যাগ স্বীকার করতে হয় । তখন হয়ত কেউ পিঠ চাপড়ে কেউ বলেনি - বোর্ডে ইংরাজিতে যৌথ সর্বাধিক নম্বর পেয়েছ ভারতে , সাহিত্য নিয়ে পড়বে ! কেউ এটাও বলেনি যে বিদ্যালয়ে বায়োলজিতে আমার ৯৭ এর পর দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ নম্বর ছিল ৮২ - নিশ্চই কিছু বিশেষ ছিল ছেলেটির প্রচেষ্টায় , বিষয়টির ওপর দক্ষতায় - এমনকি যে বাবা আমার মেডিকেল পড়া নিয়ে একপ্রকার উন্মাদনা পোষণ করতেন সেকালে , তিনিও এ বিষয়ে আলোকপাত করেন নি কোনোদিন । যা হওয়ার , তা হয়েছিল - এন আর এস ' এ পেয়েও যখন পিজি হাসপাতাল বাছলাম এম বি বি এস পড়ার জন্য , বেশ মনক্ষুন্ন হয়েছিলেন অনেকে ।কিন্তু সেই অসহায় প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝে এটাই হয়ত ছিল আমার নীরব প্রতিবাদ । "কোনো প্রতিষ্ঠান শ্রেষ্ঠ হয়না - প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে শ্রেষ্ঠ করে তোলে কিছু অসাধারণ ছাত্র, কিছু প্রতিভাশালী শিক্ষার্থী"- নিজের এই ধারণাটি বাস্তবায়িত করাই আমার কাছে তখন এক লক্ষ্য হয়ে দাড়িয়েছিল । হয়ত , আগামী দু তিন বছরে নানা স্বর্ণপদক তাদের অবসন্ন মনগুলিকে কিঞ্চিৎ প্রফুল্লিত করতে সমর্থ হয়েছিল । ৪১৯ থেকে ১ হওয়ার যাত্রাটা কেমন সেটা শুধু আমিই জেনেছিলাম - আর কিছু রহস্য আমার সাথেই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়াই শ্রেয় । অবশেষে , শুধু এইটুকুই বলব , যে এত সবকিছুর মাঝেও ,আমার শুভাকাঙ্খীরা সাদা কোটের আস্তরণে ঢাকা এক সাহিত্যিক , এক গবেষক , এক ভাসাতত্ববিদ , এক দার্শনিককে মুছে ফেলতে পারেন নি , বিনষ্ট করতে পারেন নি , মেরে ফেলতে পারেন নি - খাতায় লেখা প্রত্যেক উত্তরের মধ্যে লুকিয়েছিল এক অব্যক্ত ছন্দ , পরীক্ষায় বলা প্রত্যেকটি কথার মধ্যে মিশে ছিল অকল্পনীয় দর্শন - সেইগুলি ওতপ্রোতভাবে জড়িত আমার অস্তিত্ত্বের সাথে । শত চেষ্টা করেও সেগুলি আমার জীবন থেকে মুছে দেওয়া সম্ভব নয় - আমার আত্মার সাথে নিরবিচ্ছিন্ন তাদের বন্ধন । Never say die a small excerpt...
Aiub Sarkar
অন্য কাউকে সান্তনা দেওয়া খুব সহজ কিন্তু নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়া খুব কঠিন । 🙏 my thoughts
About Nojoto | Team Nojoto | Contact Us
Creator Monetization | Creator Academy | Get Famous & Awards | Leaderboard
Terms & Conditions | Privacy Policy | Purchase & Payment Policy Guidelines | DMCA Policy | Directory | Bug Bounty Program
© NJT Network Private Limited
Follow us on social media:
For Best Experience, Download Nojoto