"তোকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছি, উত্তর দিবি?" সঙ্কল্প বলল। অয়ন না হ্যাঁ বলছে না না। "সে ভালোবাসে তোকে?" "জানিনা।" "তোকে নিয়ে কি ভাবে, জানিস?" "জানিনা।" "কখনো বলেছে সে ফিরে আসবে তুই বললে?" "জানিনা।" "তোর প্রতিটা দিন কি ভাবে যাচ্ছে, সে জানে?" "জানিনা।" "তাহলে বোকাচোদা, তুই জানিস টা কি? নিজেকে এই ভাবে কষ্ট দেয়ার কি মানে আছে। এতটা ক্ষতি করছিস কেন নিজের?" "আমি জানিনা।" অয়ন চিতকার করে উঠল। "আমি কিছু জানিনা। আমি জানিনা, আমি কেনো এরকম হয়ে যাচ্ছি। আমি তোর একটাও প্রশ্নের উত্তর জানিনা। আর জানলেও দিতে পারব না। আমি শুধু এইটুকু জানি কি আমি একটা অন্তহীন অপেক্ষায় নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছি। আমি মরব না বাঁচব, আমি জানিনা। আমি জানি আমার কাছে আমার বলে কিছু নেই।" অয়নের গলা বসে গেছে। সঙ্কল্প ধরতে গেল, কিন্তু সড়িয়ে দিল তাকে। "আমি কেন ছুটে যাই এত তারাতারি, জানিস?" অয়ন সঙ্কল্পের কাছে এসে বলল। "যাতে একবার কোথাও ওকে রাস্তায় দেখতে পাই। যাতে ৫ মিনিট হলেও ওর কাছে থাকতে পারি। একবার ওর আওয়াজ শোনার জন্য ছটফট করি, ওর একটা মেসেজের জন্য বসে থাকি। এই সবের তোদের কাছে কোনো ভ্যালু নেই তাই আমি পাগল, কিন্তু আমি এরকমই। তোদের মত আমার লাইফ সিম্পল না, আর যদি ঈশা কে বাদ দিয়ে আমাকে নিজের লাইফ সিম্পল করতে হয় তাহলে আমার চাই না কোনো সিম্পল লাইফ।" "কি চাই তাহলে তোর? নিজেকে মেরে ফেলবি নাকি নিজেকে হারিয়ে ফেলবি?" সঙ্কল্পের চোখে জল। ও না অয়নের এই তাপ সহ্য করতে পারছে আর না যেতে পারছে। অয়ন এত নেশা করেছে সিগারেটের কি এবার ও সবকিছু হালকা ঝাপসা দেখছে। ©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #bengalistory #emptiness #influencer