Nojoto: Largest Storytelling Platform

কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পরে জ্যোতি রাস্তা তে আর দেখা

কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পরে জ্যোতি রাস্তা তে আর দেখা গেল না। অভ্র ভালো করে দেখল আর তার পর আবার দোকানে এলো। 
--"দাদা, আরেকটা দাও।" 
--"এতো কেন স্যার?" দোকানদার জিজ্ঞাসা করল। 
--"তুমি নিজের দোকানের কথা ভাব দাদা, আমার শরীরের কথা না।" অভ্র হাঁসতে হাঁসতে বলল আর সিগারেট নিয়ে এগিয়ে গেল। 
মোবাইল থেকে আবার গল্পটা পড়া শুরু করল। গল্পটা হাতে লেখা আর সেটা গল্প বললেও চলবে না। একটি চিঠি। অভ্র আবার পড়া শুরু করল-
"আমি সেরকম পরিস্থিতি তে নেই যেখানে তোমার কথা শুনতে পাব। আমার কিছু দায়িত্ব আছে যেটা আমাকে তোমার কাছে যেতে আটকে দিচ্ছে। তুমি আমাকে স্বার্থপর ভাবতেই পারো কিন্তু আমার সাথে কি ঘটছে, একমাত্র আমি জানি। আমি কোন পরিস্থিতি দিয়ে চলে চলেছি সেটা আমি তোমাকে কখনই বলে বোঝাতে পারব না। আমি জানি আমি অনেক ভুল ডিসিশন নিয়েছি এর আগে, হয়তো এই কাজটা আমার নিজের ব্যক্তিগত জীবনে একটা সীমারেখা টেনে দেবে কিন্তু সবার ভালোর জন্য আমাকে এইটা করতে হবে।

তোমার জন্য আমার খারাপ লাগে কেননা আজকের সময় দাড়িয়ে আপাতত তুমিই একমাত্র বন্ধু যে আমাকে কোনদিন জজ করেনি, কোন প্রশ্ন তোলেনি। আমি জানি এই লেখাটা পড়ার সময় তোমার মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন, অনেক রাগ, হয়তো ঘৃণা ও আসতে পারে কিন্তু যদি তুমি বুঝতে পার তাহলে একটা অনুরোধ করছি- নিজের জীবনে এগো কেননা য়ু ডিসর্ভ বেটার, এরকম জেদি আর ছন্নছাড়া লাইফস্টাইল ধরে থেক না। আর হ্যাঁ, আমাকে কথা দিয়েছিলে, স্মোকিং না করার, সেটা যেন না হয়। ভালো থেকো--- অন্বেষা।"
সিগারেটের শেষ ছাই ফেলে আগুন নিভিয়ে অভ্র বসে উঠল আর এসে উঠল নিজের একান্ত জায়গায়। রাস্তা পার করে একটা ছোট্ট চায়ের দোকান। 
--"আবার আজ দেরি?"
--"হ্যাঁ, ওই আর কি। দাও আমার জিনিস পত্র দাও।" অভ্র এইটা বলতে লোকটা একটা ছোট ভাঁড়ে চা আর ওর স্পেশাল সিগারেট ধরিয়ে দেয়। 
--"একটা কথা বলার ছিল দাদা।"
--"হ্যাঁ বল না।" চায় চুমুক দিতে দিতে অভ্র জিজ্ঞাসা করল। 
--"ওই ম্যাডাম মাঝে মাঝে আসতেন এখানে আর তার পর চলে যেতেন চা খেয়ে...."
--"ভালো কথা তো। আপনার এক নতুন ক্রেতা জুড়ল।" অভ্র মাঝখানে বলে ঘুরে চা খাওয়া শুরু করল। 
--"একা একা খাচ্ছেন মিস্টার রয়।" হঠাৎ একটা চেনা পরিচিত আওয়াজ শুনে অভ্র চমকে উঠল। আওয়াজ শুনে পিছনে ঘুরল আর চোখ পড়ল সেই মানুষের ওপর যে অভ্রের জীবনের অঙ্গীকার। অভ্র চায়ের ভাঁড় ফেলে তার দিকে এগিয়ে গেল। 
--"কেমন আছো?" অন্বেষা সামনে এসে জিজ্ঞাসা করল।

©Ananta Dasgupta #bengalistory #anantadasgupta #part2
কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পরে জ্যোতি রাস্তা তে আর দেখা গেল না। অভ্র ভালো করে দেখল আর তার পর আবার দোকানে এলো। 
--"দাদা, আরেকটা দাও।" 
--"এতো কেন স্যার?" দোকানদার জিজ্ঞাসা করল। 
--"তুমি নিজের দোকানের কথা ভাব দাদা, আমার শরীরের কথা না।" অভ্র হাঁসতে হাঁসতে বলল আর সিগারেট নিয়ে এগিয়ে গেল। 
মোবাইল থেকে আবার গল্পটা পড়া শুরু করল। গল্পটা হাতে লেখা আর সেটা গল্প বললেও চলবে না। একটি চিঠি। অভ্র আবার পড়া শুরু করল-
"আমি সেরকম পরিস্থিতি তে নেই যেখানে তোমার কথা শুনতে পাব। আমার কিছু দায়িত্ব আছে যেটা আমাকে তোমার কাছে যেতে আটকে দিচ্ছে। তুমি আমাকে স্বার্থপর ভাবতেই পারো কিন্তু আমার সাথে কি ঘটছে, একমাত্র আমি জানি। আমি কোন পরিস্থিতি দিয়ে চলে চলেছি সেটা আমি তোমাকে কখনই বলে বোঝাতে পারব না। আমি জানি আমি অনেক ভুল ডিসিশন নিয়েছি এর আগে, হয়তো এই কাজটা আমার নিজের ব্যক্তিগত জীবনে একটা সীমারেখা টেনে দেবে কিন্তু সবার ভালোর জন্য আমাকে এইটা করতে হবে।

তোমার জন্য আমার খারাপ লাগে কেননা আজকের সময় দাড়িয়ে আপাতত তুমিই একমাত্র বন্ধু যে আমাকে কোনদিন জজ করেনি, কোন প্রশ্ন তোলেনি। আমি জানি এই লেখাটা পড়ার সময় তোমার মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন, অনেক রাগ, হয়তো ঘৃণা ও আসতে পারে কিন্তু যদি তুমি বুঝতে পার তাহলে একটা অনুরোধ করছি- নিজের জীবনে এগো কেননা য়ু ডিসর্ভ বেটার, এরকম জেদি আর ছন্নছাড়া লাইফস্টাইল ধরে থেক না। আর হ্যাঁ, আমাকে কথা দিয়েছিলে, স্মোকিং না করার, সেটা যেন না হয়। ভালো থেকো--- অন্বেষা।"
সিগারেটের শেষ ছাই ফেলে আগুন নিভিয়ে অভ্র বসে উঠল আর এসে উঠল নিজের একান্ত জায়গায়। রাস্তা পার করে একটা ছোট্ট চায়ের দোকান। 
--"আবার আজ দেরি?"
--"হ্যাঁ, ওই আর কি। দাও আমার জিনিস পত্র দাও।" অভ্র এইটা বলতে লোকটা একটা ছোট ভাঁড়ে চা আর ওর স্পেশাল সিগারেট ধরিয়ে দেয়। 
--"একটা কথা বলার ছিল দাদা।"
--"হ্যাঁ বল না।" চায় চুমুক দিতে দিতে অভ্র জিজ্ঞাসা করল। 
--"ওই ম্যাডাম মাঝে মাঝে আসতেন এখানে আর তার পর চলে যেতেন চা খেয়ে...."
--"ভালো কথা তো। আপনার এক নতুন ক্রেতা জুড়ল।" অভ্র মাঝখানে বলে ঘুরে চা খাওয়া শুরু করল। 
--"একা একা খাচ্ছেন মিস্টার রয়।" হঠাৎ একটা চেনা পরিচিত আওয়াজ শুনে অভ্র চমকে উঠল। আওয়াজ শুনে পিছনে ঘুরল আর চোখ পড়ল সেই মানুষের ওপর যে অভ্রের জীবনের অঙ্গীকার। অভ্র চায়ের ভাঁড় ফেলে তার দিকে এগিয়ে গেল। 
--"কেমন আছো?" অন্বেষা সামনে এসে জিজ্ঞাসা করল।

©Ananta Dasgupta #bengalistory #anantadasgupta #part2