Nojoto: Largest Storytelling Platform

ক্লাইন্ট কে মেল করার পড়ে রিপ্লাই আসল কিছু জিনিস আ

ক্লাইন্ট কে মেল করার পড়ে রিপ্লাই আসল কিছু জিনিস আলোচনা করার জন্য ক্লাইন্ট ভি.সি করতে চায়। অরিন্দমের মন এবার ছটফট করছে কিন্তু বারন করার কোনো জায়গা নেই। মিটিং শুরু হওয়ার আগে প্রিশা কে কল করল
--"শোনো। আমার একটা মিটিং পড়ে গেছে হঠাৎ। আমার দেরি হয়ে যাবে। তুমি চলে যাও।"
--"ঠিকাছে! আমি আছি। তুমি শেষ করে এসো।"
--"কেন জেদ করছ? কেন অকারণে আমার জন্য ৩:৩০ ঘন্টা ধরে দাড়িয়ে আছো?"
--"কিছু জিনিস অকারণে হয়ে। আমি যাচ্ছি না।" 
অরিন্দম মাঝখানে মিটিংয়ে ঢুকে পড়ল। সবকিছু শেষ করতে গিয়ে ঘড়ি তে দেখল প্রায় ৬:৫৮ আর শুরু হল তুমুল জোরে বৃষ্টি। বাইরের অবস্থা দেখে অরিন্দমের চিন্তা আরও বেড়ে গেল। যখন কল করল তখন অন্য কলে ব্যস্ত পেল কিন্তু কিছু লেখার আগেই একটা মেসেজ এসে পড়ল অরিন্দমের কাছে। 
--"আমি বৃষ্টি তে ভিজিনি। আমাকে যাওয়া নিয়ে কিছু বলবে না। আর এমনিও, আমি যেতে পারবো না এখন। আমি আছি।"

অরিন্দম কাজ শেষ করবে ঠিক তখনই ওর একটা কলিগ এসে বলল
--"শোনো না। তোমাকে একটা ছোট্ট কাজ দিচ্ছি। আমাকে বাড়ি যেতে হবে না হলে বাস পাবনা। এটা একটু করে দেবে প্লিজ়?" অরিন্দম আর না বলতে পাড়ল না। কাজ শেষ করে দেখল বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেছে আর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল ৮:১০ হয়ে গেছে। ছুটলো চায়ের দোকানের দিকে। দেখল প্রিশা একাই বসে। অরিন্দম কে দেখে প্রিশা এক অদ্ভুত মিষ্টি হাঁসি দিল।
 
--"আমার খিদে পেয়েছে। তুমি আমাকে ফুচকা আর কোল্ড ড্রিংকস খাওয়াও।" অরিন্দম একটু হেঁসে ওর আবদার গুলো পুরো করল আর এর মাঝে প্রিশা সারাদিনের নিজের সমস্ত গল্প বলল। রাত আর বৃষ্টির জন্য বাস হঠাৎ করে কমে গেল। বেশি রাত হতে দেখে অরিন্দম একটা ক্যাব বুক করল আর প্রিশা কে তুলে দিল। লোকেশন দেখার জন্য ম্যাপ অন রাখল নিজের মোবাইলে। কিন্তু কিছুক্ষণ কথা বলার জন্য একটা মেয়ে ৬ ঘন্টা অপেক্ষা করল, এইটা ভেবে অরিন্দম অবাক। খালি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে অরিন্দম দেখল প্রিশা কল করছে। 
--"সাবধানে যেও। বাড়ি পৌঁছে জানিও। আর ততক্ষণ কলে থাকো।"
--"আহ! কতটা খেয়াল রাখে আমার!"
--"যত দিন বেঁচে আছি, ততদিন খেয়াল রাখবো।" শেষ কথাটা শুনে অরিন্দম থেমে গেল। এরকম কথা ওর মনে গেঁথে আছে। অন্য একজনের বলা, অনেক আগে। 

"যত দিন বেঁচে আছি, আমি তোমাকে হারিয়ে যেতে দেব না।" সেই পুরোনো কথাটা মনে পড়ে গেল অরিন্দমের। মনে হল কিছু চাপ পড়েছে ভিতরে। ওদিকে প্রিশা হ্যালো.. হ্যালো করে যাচ্ছে। 
--"হ্যাঁ বলো।"
--"কোথায় ছিলে?"
--"না না! কিছু না। তুমি বলো।"
--"আগে বলো, কি ভাবছিলে?"
--"ভাবছিলাম না। তোমাকে একটা কথা বলতে পারি?"
--"হ্যাঁ।"
--"তুমি এত সহজ ভাবে এত বড় কথা যে বলল, সেটা করা এত সোজা নয়। এরকম অঙ্গীকারের মুখোমুখি আগেও হয়েছি কিন্তু সারা জীবনের কথা দেওয়া আর সেটা রাখার তফাৎ আমি জানি।"

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #story #part2
ক্লাইন্ট কে মেল করার পড়ে রিপ্লাই আসল কিছু জিনিস আলোচনা করার জন্য ক্লাইন্ট ভি.সি করতে চায়। অরিন্দমের মন এবার ছটফট করছে কিন্তু বারন করার কোনো জায়গা নেই। মিটিং শুরু হওয়ার আগে প্রিশা কে কল করল
--"শোনো। আমার একটা মিটিং পড়ে গেছে হঠাৎ। আমার দেরি হয়ে যাবে। তুমি চলে যাও।"
--"ঠিকাছে! আমি আছি। তুমি শেষ করে এসো।"
--"কেন জেদ করছ? কেন অকারণে আমার জন্য ৩:৩০ ঘন্টা ধরে দাড়িয়ে আছো?"
--"কিছু জিনিস অকারণে হয়ে। আমি যাচ্ছি না।" 
অরিন্দম মাঝখানে মিটিংয়ে ঢুকে পড়ল। সবকিছু শেষ করতে গিয়ে ঘড়ি তে দেখল প্রায় ৬:৫৮ আর শুরু হল তুমুল জোরে বৃষ্টি। বাইরের অবস্থা দেখে অরিন্দমের চিন্তা আরও বেড়ে গেল। যখন কল করল তখন অন্য কলে ব্যস্ত পেল কিন্তু কিছু লেখার আগেই একটা মেসেজ এসে পড়ল অরিন্দমের কাছে। 
--"আমি বৃষ্টি তে ভিজিনি। আমাকে যাওয়া নিয়ে কিছু বলবে না। আর এমনিও, আমি যেতে পারবো না এখন। আমি আছি।"

অরিন্দম কাজ শেষ করবে ঠিক তখনই ওর একটা কলিগ এসে বলল
--"শোনো না। তোমাকে একটা ছোট্ট কাজ দিচ্ছি। আমাকে বাড়ি যেতে হবে না হলে বাস পাবনা। এটা একটু করে দেবে প্লিজ়?" অরিন্দম আর না বলতে পাড়ল না। কাজ শেষ করে দেখল বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেছে আর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল ৮:১০ হয়ে গেছে। ছুটলো চায়ের দোকানের দিকে। দেখল প্রিশা একাই বসে। অরিন্দম কে দেখে প্রিশা এক অদ্ভুত মিষ্টি হাঁসি দিল।
 
--"আমার খিদে পেয়েছে। তুমি আমাকে ফুচকা আর কোল্ড ড্রিংকস খাওয়াও।" অরিন্দম একটু হেঁসে ওর আবদার গুলো পুরো করল আর এর মাঝে প্রিশা সারাদিনের নিজের সমস্ত গল্প বলল। রাত আর বৃষ্টির জন্য বাস হঠাৎ করে কমে গেল। বেশি রাত হতে দেখে অরিন্দম একটা ক্যাব বুক করল আর প্রিশা কে তুলে দিল। লোকেশন দেখার জন্য ম্যাপ অন রাখল নিজের মোবাইলে। কিন্তু কিছুক্ষণ কথা বলার জন্য একটা মেয়ে ৬ ঘন্টা অপেক্ষা করল, এইটা ভেবে অরিন্দম অবাক। খালি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে অরিন্দম দেখল প্রিশা কল করছে। 
--"সাবধানে যেও। বাড়ি পৌঁছে জানিও। আর ততক্ষণ কলে থাকো।"
--"আহ! কতটা খেয়াল রাখে আমার!"
--"যত দিন বেঁচে আছি, ততদিন খেয়াল রাখবো।" শেষ কথাটা শুনে অরিন্দম থেমে গেল। এরকম কথা ওর মনে গেঁথে আছে। অন্য একজনের বলা, অনেক আগে। 

"যত দিন বেঁচে আছি, আমি তোমাকে হারিয়ে যেতে দেব না।" সেই পুরোনো কথাটা মনে পড়ে গেল অরিন্দমের। মনে হল কিছু চাপ পড়েছে ভিতরে। ওদিকে প্রিশা হ্যালো.. হ্যালো করে যাচ্ছে। 
--"হ্যাঁ বলো।"
--"কোথায় ছিলে?"
--"না না! কিছু না। তুমি বলো।"
--"আগে বলো, কি ভাবছিলে?"
--"ভাবছিলাম না। তোমাকে একটা কথা বলতে পারি?"
--"হ্যাঁ।"
--"তুমি এত সহজ ভাবে এত বড় কথা যে বলল, সেটা করা এত সোজা নয়। এরকম অঙ্গীকারের মুখোমুখি আগেও হয়েছি কিন্তু সারা জীবনের কথা দেওয়া আর সেটা রাখার তফাৎ আমি জানি।"

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #story #part2