Nojoto: Largest Storytelling Platform

রাতে কথা বলার সময় বুঝতে পারল আয়না কোনো কারণে অভি

রাতে কথা বলার সময় বুঝতে পারল আয়না কোনো কারণে অভিমান করেছে। কারণটা জানতে পেরে বেদান্ত বুঝতে পারল না যদি আয়না বেদান্ত কে পছন্দ না করে তাহলে এই ঈর্ষা কেন! তখন জিজ্ঞাসা করল জোর করে এইটা জানার জন্য যে আয়না তাকে ভালোবাসে কি না। কিন্তু নিজের জেদের ওপর দাঁড়িয়ে আয়না কিছু বলল না। বেদান্ত সারা রাত আয়নার কাছে সেই একটাই প্রশ্ন করে গেল কিন্তু কোনো উত্তর আসল না। অন্য কোনো মেয়ে থাকলে হয়তো এতক্ষণে বেদান্তের ওপর একটু রুঢ় হয়ে যেত কিন্তু আর যা হলেও, আয়না বেদান্ত কে কখনো জোর গলায় কিছু বলেনি। শেষে যখন বেদান্তের জেদের সামনে পারছে না তখন গিয়ে একটাই কথা বলল-

--"তুমি আমার জীবনে আমার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে এসেছ? তুমি আমাকে একটুও শান্তি দেবে না, বল?" তারপর আয়না ঝড়ঝড় করে কেঁদে ফেলে। বেদান্ত এদিকে ওর কাছে যাওয়ার জন্য ছটফট করছে কিন্তু মাঝরাতে হাত পা বাঁধা। বেদান্তের কাছে কোনো উত্তর নেই। কথাটা ওকে তীরের মতো বিদ্ধ করে কিন্তু কিছু বলল না। 
--"ঠিক আছে। কেঁদো না। আমি কথা দিচ্ছি আমি আর তোমার সামনে আসব না।" তারপর দু'দিন বেদান্ত আর আয়না কোনো কথা হয়না। আয়না ওকে দেখতে চাইত কিন্তু জানতে পারল বেদান্তের হঠাৎ শরীর খারাপ করেছে যার কারণে সে অফিসে আসেনি। 

আয়না অফিসে ঢুকতে গিয়ে দুর থেকে লক্ষ করে বেদান্ত কে। দ্রুত পায়ে হেঁটে পৌঁছে যায় ওর সামনে। দেখে মনে হচ্ছে বেদান্ত দুর্বল হয়ে গেছে, ইচ্ছা হলো একবার ওকে বুকে জড়িয়ে ধরতে কিন্তু দুজনেই একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসল আর নিজের অফিসে ঢুকে পড়ল। দুপুরে বেদান্ত কে আয়না জানিয়ে দিল গার্ডেনে থাকতে। যা হোক করে কাজ শেষ করে আয়না দৌড়ে গেল নীচে যেখানে বেদান্ত বসে। বেদান্তের পাশে এসে বসল আয়না আর কিছূক্ষন পরে গলা জড়িয়ে ধরল। বেদান্ত এইটা আশা করেনি। ওর হৃদস্পন্দন করছে দ্রুত গতিতে। আয়নার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে আসতে করে কানের কাছে গিয়ে বলল

--"আমি আছি তো এখানেই।" আয়না মুখটা বুকের ভিতরে গুজে দিয়ে ওর শার্ট আঁকরে ধরল। বেদান্তের মনে হল আয়না হয়তো কাঁদছে। 
--"এখন কেনো কাঁদছ? মাথাটা তোলো।"
--"আর ৫ মিনিট।" বলে আয়না প্রায় অনেকক্ষণ জড়িয়ে ধরে রইল। মাঝের মধ্যে একবার করে একবার করে বেদান্তের চোখে দেখছে আর আবার বুকের ভিতরে মাথা রেখে দিচ্ছে। বেদান্ত সারাক্ষণ আয়নার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে ঠোঁটটা আয়নার কপালে ঠেকাল।
--"এখন তো ভালো আছো। আমি আর জালাচ্ছি না। বার বার প্রশ্ন করে বিরক্ত করছি না।" আয়না সোজা হয়ে বসতে বেদান্ত বলল। 
--"তোমার অভ্যাস হয়ে গেছে। জানিনা কেনো?" আয়না এইটুকু বলে দাড়িয়ে পড়ল যাওয়ার জন্য কিন্তু বেদান্ত সামনে টেনে ধরল। হাতটা আয়নার কোমরে পেঁচিয়ে সক্ত করে ধরে রাখল। আয়না বেদান্তের খুব কাছে এসে গেছে আর নিজেকে সামলানোর অনেক চেষ্টা করছে। 
--"কেনো আয়না? আমার জন্য ভাবছ, চিন্তা করছ, ঈর্ষা করছ, বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছ কিন্তু স্বীকার করতে পারছ না? কেনো পালাচ্ছ নিজের থেকে?" আয়নার যত বার মুখ নীচু করছে তত বার বেদান্ত কোমরে আরও চাপ দিচ্ছে। আয়না নিজেকে আর সামলাতে পারছে না কিন্তু ওর মুখ থেকে কোনো জবাব বের হয়নি। বেদান্ত কোনো উত্তর না পেয়ে নিজের নাগাল থেকে আয়না কে ছেড়ে দিল
--"উত্তর দেবে না। দিও না। আজকের পর থেকে এই বেদান্তের চেহারা তুমি দেখতে পাবে না। যাও, বাড়ি যাও।"
--"কেনো করছ তুমি এরকম বেদান্ত?" বেদান্ত কোনো উত্তর দিল না। ব্যাগ উঠিয়ে যখন এক পা পিছিয়ে গেল ঠিক তখন আয়না বেদান্তের কলার ধরে তাকে কাছে টানে। 
"হ্যাঁ, ভালোবাসি। প্রচন্ড ভালোবাসি। আমি নিজের জিনিস কারো সাথে ভাগ করব না, তাই ঈর্ষা করি।" এইটা বলে আয়না বেদান্ত কে আবৃত করে ধরে নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দেয় বেদান্তের সাথে। প্রায় কিছুক্ষণ পরে চুম্বন ভেঙ্গে আয়না বুকের ভিতরে মাথা রাখে। 
--"আয়না, অনেক রাত হচ্ছে। বাড়ি যাবে না?"
--"হুমম! যাব। আর ৫ মিনিট।"

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #bengalistory
রাতে কথা বলার সময় বুঝতে পারল আয়না কোনো কারণে অভিমান করেছে। কারণটা জানতে পেরে বেদান্ত বুঝতে পারল না যদি আয়না বেদান্ত কে পছন্দ না করে তাহলে এই ঈর্ষা কেন! তখন জিজ্ঞাসা করল জোর করে এইটা জানার জন্য যে আয়না তাকে ভালোবাসে কি না। কিন্তু নিজের জেদের ওপর দাঁড়িয়ে আয়না কিছু বলল না। বেদান্ত সারা রাত আয়নার কাছে সেই একটাই প্রশ্ন করে গেল কিন্তু কোনো উত্তর আসল না। অন্য কোনো মেয়ে থাকলে হয়তো এতক্ষণে বেদান্তের ওপর একটু রুঢ় হয়ে যেত কিন্তু আর যা হলেও, আয়না বেদান্ত কে কখনো জোর গলায় কিছু বলেনি। শেষে যখন বেদান্তের জেদের সামনে পারছে না তখন গিয়ে একটাই কথা বলল-

--"তুমি আমার জীবনে আমার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে এসেছ? তুমি আমাকে একটুও শান্তি দেবে না, বল?" তারপর আয়না ঝড়ঝড় করে কেঁদে ফেলে। বেদান্ত এদিকে ওর কাছে যাওয়ার জন্য ছটফট করছে কিন্তু মাঝরাতে হাত পা বাঁধা। বেদান্তের কাছে কোনো উত্তর নেই। কথাটা ওকে তীরের মতো বিদ্ধ করে কিন্তু কিছু বলল না। 
--"ঠিক আছে। কেঁদো না। আমি কথা দিচ্ছি আমি আর তোমার সামনে আসব না।" তারপর দু'দিন বেদান্ত আর আয়না কোনো কথা হয়না। আয়না ওকে দেখতে চাইত কিন্তু জানতে পারল বেদান্তের হঠাৎ শরীর খারাপ করেছে যার কারণে সে অফিসে আসেনি। 

আয়না অফিসে ঢুকতে গিয়ে দুর থেকে লক্ষ করে বেদান্ত কে। দ্রুত পায়ে হেঁটে পৌঁছে যায় ওর সামনে। দেখে মনে হচ্ছে বেদান্ত দুর্বল হয়ে গেছে, ইচ্ছা হলো একবার ওকে বুকে জড়িয়ে ধরতে কিন্তু দুজনেই একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসল আর নিজের অফিসে ঢুকে পড়ল। দুপুরে বেদান্ত কে আয়না জানিয়ে দিল গার্ডেনে থাকতে। যা হোক করে কাজ শেষ করে আয়না দৌড়ে গেল নীচে যেখানে বেদান্ত বসে। বেদান্তের পাশে এসে বসল আয়না আর কিছূক্ষন পরে গলা জড়িয়ে ধরল। বেদান্ত এইটা আশা করেনি। ওর হৃদস্পন্দন করছে দ্রুত গতিতে। আয়নার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে আসতে করে কানের কাছে গিয়ে বলল

--"আমি আছি তো এখানেই।" আয়না মুখটা বুকের ভিতরে গুজে দিয়ে ওর শার্ট আঁকরে ধরল। বেদান্তের মনে হল আয়না হয়তো কাঁদছে। 
--"এখন কেনো কাঁদছ? মাথাটা তোলো।"
--"আর ৫ মিনিট।" বলে আয়না প্রায় অনেকক্ষণ জড়িয়ে ধরে রইল। মাঝের মধ্যে একবার করে একবার করে বেদান্তের চোখে দেখছে আর আবার বুকের ভিতরে মাথা রেখে দিচ্ছে। বেদান্ত সারাক্ষণ আয়নার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে ঠোঁটটা আয়নার কপালে ঠেকাল।
--"এখন তো ভালো আছো। আমি আর জালাচ্ছি না। বার বার প্রশ্ন করে বিরক্ত করছি না।" আয়না সোজা হয়ে বসতে বেদান্ত বলল। 
--"তোমার অভ্যাস হয়ে গেছে। জানিনা কেনো?" আয়না এইটুকু বলে দাড়িয়ে পড়ল যাওয়ার জন্য কিন্তু বেদান্ত সামনে টেনে ধরল। হাতটা আয়নার কোমরে পেঁচিয়ে সক্ত করে ধরে রাখল। আয়না বেদান্তের খুব কাছে এসে গেছে আর নিজেকে সামলানোর অনেক চেষ্টা করছে। 
--"কেনো আয়না? আমার জন্য ভাবছ, চিন্তা করছ, ঈর্ষা করছ, বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছ কিন্তু স্বীকার করতে পারছ না? কেনো পালাচ্ছ নিজের থেকে?" আয়নার যত বার মুখ নীচু করছে তত বার বেদান্ত কোমরে আরও চাপ দিচ্ছে। আয়না নিজেকে আর সামলাতে পারছে না কিন্তু ওর মুখ থেকে কোনো জবাব বের হয়নি। বেদান্ত কোনো উত্তর না পেয়ে নিজের নাগাল থেকে আয়না কে ছেড়ে দিল
--"উত্তর দেবে না। দিও না। আজকের পর থেকে এই বেদান্তের চেহারা তুমি দেখতে পাবে না। যাও, বাড়ি যাও।"
--"কেনো করছ তুমি এরকম বেদান্ত?" বেদান্ত কোনো উত্তর দিল না। ব্যাগ উঠিয়ে যখন এক পা পিছিয়ে গেল ঠিক তখন আয়না বেদান্তের কলার ধরে তাকে কাছে টানে। 
"হ্যাঁ, ভালোবাসি। প্রচন্ড ভালোবাসি। আমি নিজের জিনিস কারো সাথে ভাগ করব না, তাই ঈর্ষা করি।" এইটা বলে আয়না বেদান্ত কে আবৃত করে ধরে নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দেয় বেদান্তের সাথে। প্রায় কিছুক্ষণ পরে চুম্বন ভেঙ্গে আয়না বুকের ভিতরে মাথা রাখে। 
--"আয়না, অনেক রাত হচ্ছে। বাড়ি যাবে না?"
--"হুমম! যাব। আর ৫ মিনিট।"

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #bengalistory
anantadasgupta7138

Ananta Dasgupta

New Creator
streak icon39