দিতির কথা শুনে ঈশা অবাক হয়ে অয়নের দিকে তাকাল। কি

দিতির কথা শুনে ঈশা অবাক হয়ে অয়নের দিকে তাকাল। কিছুক্ষণের জন্য ও বিশ্বাস করতে পারেনি কি অয়ন বিয়ে করবে। 

"এর কথায় কান দিওনা। দিতি সবাইকে বলে অয়ন ওর বর, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটা পালটে যায়।" ঈশার হাঁ হয়ে থাকা মুখটা বন্ধ করার জন্য আর্য আসল কথাটা পরিষ্কার করে বলল। ততক্ষণ অয়ন আর সঙ্কল্প সিগারেট খেতে খেতে কথা বলছে। 

"ও হঠাৎ এখানে?" সঙ্কল্প জিজ্ঞাসা করল

"ইন্টারভিউ আছে আজ। ওর মাঝে দেখা করতে এসেছে।" অয়নের কথার কোনো পাত্তা দিল না সঙ্কল্প। 

প্রায় সিগারেট শেষ হওয়ার মুখে সঙ্কল্প বলল- "আসলে একটা কথা বলব। তুই যতই কষ্টের মধ্যে থাক, যতই ছটপট করিস না কেন! তুই ওকে ছাড়তে পারবি না। যদি ও চলেও যায়। তাই তো!"

"এটা কিন্তু তুইও জানিস কি ওর আমার লাইফে থাকা কি মায়নে রাখে। আমি ওকে আমার মত রেখেছি। ও কি ভাবে রেখেছে, কিংবা রাখেনি, সেটা ওর ব্যপার।" অয়নের কথা শুনে সঙ্কল্প কিছু না বলে চলে গেল। 

অয়নের চেহারার অবস্থা দেখে ঈশা আর কোন কথা বাড়াল না। বরং ও বাকি কলিগদের সাথে গল্প করছে। 

অয়ন একটা সিগারেট ছেড়ে আরেকটা ধরাতে যাবে তখন ঈশা আসল- "তুমি না বললে কি তুমি নেশা কমাচ্ছ। দেখে তো মনে হচ্ছে না।"

অয়ন কিছু না বলে ওর বন্ধুদের দিকে ইশারা করল এগোতে। বিল পেয়মেন্ট করার পর ও ঈশার দিকে ঘুরে বলল- "আমি বলেছি আমার মেডিকেশন চলছিল, এইটা বলিনি কি আমি কমিয়ে দিয়েছি। আর এমনিও, আমার নেশা কমলেও বা কি আর বাড়লেও বা কি? তোমার কি যায় আসে?"

"অনেক কিছু।" ঈশা কথাটা একটু জোরে বলেছে কিন্তু অয়নের এই অধিকার বোধ মনে হল না।

"একটা কথা বলছি। প্রত্যেক মানুষের বেচে থাকার জন্য একটা ডিপেন্ডেন্সি লাগে। আমার ডিপেন্ডেন্সি হল এইটা। আমাকে শান্ত রাখে আর আমি কাজে মন লাগাতে পারি। এমন তো হবে না কি আমি যদি অস্থির হয়ে যাই আর তোমাকে খুঁজি তাহলে তুমি সব ছেড়ে ছুড়ে আমার কাছে এসে যাবে!" অয়ন বলে সিগারেটের শেষ ধোঁয়া আকাশের দিকে উড়িয়ে দিল। 

"আর যদি এসে যাই!" ঈশার কথা শুনে অয়ন ঘুরে ওর দিকে তাকাল। এই বার ওর অধিকার বোধ মনে করল। 

"এই সবে তোমার ক্ষতি হবে, তাই বললাম।" ঈশা প্রত্যেক বারের মত এড়িয়ে গিয়ে অন্য কথা বলল।

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #Storywriting #absence #incompletelove #Bengali #bengaliwriter
দিতির কথা শুনে ঈশা অবাক হয়ে অয়নের দিকে তাকাল। কিছুক্ষণের জন্য ও বিশ্বাস করতে পারেনি কি অয়ন বিয়ে করবে। 

"এর কথায় কান দিওনা। দিতি সবাইকে বলে অয়ন ওর বর, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটা পালটে যায়।" ঈশার হাঁ হয়ে থাকা মুখটা বন্ধ করার জন্য আর্য আসল কথাটা পরিষ্কার করে বলল। ততক্ষণ অয়ন আর সঙ্কল্প সিগারেট খেতে খেতে কথা বলছে। 

"ও হঠাৎ এখানে?" সঙ্কল্প জিজ্ঞাসা করল

"ইন্টারভিউ আছে আজ। ওর মাঝে দেখা করতে এসেছে।" অয়নের কথার কোনো পাত্তা দিল না সঙ্কল্প। 

প্রায় সিগারেট শেষ হওয়ার মুখে সঙ্কল্প বলল- "আসলে একটা কথা বলব। তুই যতই কষ্টের মধ্যে থাক, যতই ছটপট করিস না কেন! তুই ওকে ছাড়তে পারবি না। যদি ও চলেও যায়। তাই তো!"

"এটা কিন্তু তুইও জানিস কি ওর আমার লাইফে থাকা কি মায়নে রাখে। আমি ওকে আমার মত রেখেছি। ও কি ভাবে রেখেছে, কিংবা রাখেনি, সেটা ওর ব্যপার।" অয়নের কথা শুনে সঙ্কল্প কিছু না বলে চলে গেল। 

অয়নের চেহারার অবস্থা দেখে ঈশা আর কোন কথা বাড়াল না। বরং ও বাকি কলিগদের সাথে গল্প করছে। 

অয়ন একটা সিগারেট ছেড়ে আরেকটা ধরাতে যাবে তখন ঈশা আসল- "তুমি না বললে কি তুমি নেশা কমাচ্ছ। দেখে তো মনে হচ্ছে না।"

অয়ন কিছু না বলে ওর বন্ধুদের দিকে ইশারা করল এগোতে। বিল পেয়মেন্ট করার পর ও ঈশার দিকে ঘুরে বলল- "আমি বলেছি আমার মেডিকেশন চলছিল, এইটা বলিনি কি আমি কমিয়ে দিয়েছি। আর এমনিও, আমার নেশা কমলেও বা কি আর বাড়লেও বা কি? তোমার কি যায় আসে?"

"অনেক কিছু।" ঈশা কথাটা একটু জোরে বলেছে কিন্তু অয়নের এই অধিকার বোধ মনে হল না।

"একটা কথা বলছি। প্রত্যেক মানুষের বেচে থাকার জন্য একটা ডিপেন্ডেন্সি লাগে। আমার ডিপেন্ডেন্সি হল এইটা। আমাকে শান্ত রাখে আর আমি কাজে মন লাগাতে পারি। এমন তো হবে না কি আমি যদি অস্থির হয়ে যাই আর তোমাকে খুঁজি তাহলে তুমি সব ছেড়ে ছুড়ে আমার কাছে এসে যাবে!" অয়ন বলে সিগারেটের শেষ ধোঁয়া আকাশের দিকে উড়িয়ে দিল। 

"আর যদি এসে যাই!" ঈশার কথা শুনে অয়ন ঘুরে ওর দিকে তাকাল। এই বার ওর অধিকার বোধ মনে করল। 

"এই সবে তোমার ক্ষতি হবে, তাই বললাম।" ঈশা প্রত্যেক বারের মত এড়িয়ে গিয়ে অন্য কথা বলল।

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #Storywriting #absence #incompletelove #Bengali #bengaliwriter