।। মনের কথা।। (পুরো গল্প ক্যাপশনে) -এই বার্থডে কেকটার ওপর কি নাম লেখা হবে ম্যাডাম? -কোকো! নামটা বলতেই পারমিতার গোলাপী ঠোঁটের সরু ফাঁকটা একটুখানি চওড়া হয়ে গেল, রিমলেস চশমার কাঁচের ভেতরে আবদ্ধ, চোখদুটোর মধ্যে এক অনাবিল শান্তির রেশ বয়ে যাচ্ছে, যেন সাংসারিক জীবনের যত কথাকাটাকাটি, দ্বন্দ্ব,মান-অভিমানকে সে নিমেষেই আকাশে উড়িয়ে দিল। দাম মিটিয়ে, দোকান থেকে বেরিয়ে আসতেই, উত্তরের উত্তেজিত এক ঝাঁক হাওয়া রাস্তা পারাপার করে জানান দেয় শীত এ শহরে পদার্পণ করছে। শাড়ির আঁচলটা গায়ে টেনে গাড়িতে উঠে, স্টিয়ারিংয়ে হাত রাখে পারমিতা, ডঃ পারমিতা ভট্টাচার্য, এ শহরের বিখ্যাত মনস্তত্ত্ববিদ; লোকেদের মনের কথা শুনে মনের ব্যামো সারানোটাই তাঁর কাজ। নিজস্ব চেম্বার, হসপিটাল আউটডোর সামলে, তাঁর গড়া ছোট্ট রিহ্যাবিলিটেশন হোমের দায়িত্বও কিন্তু তার ঘাড়েই। হাইরোডের দুপাশে দাঁড়ানো গাছগুলোর গায়ে চাপ চাপ কুয়াশা সাজানো রয়েছে, কুয়াশার কোপে বেচারা গাছগুলো এক্কেবারে কুঁকড়ে গেছে। একইভাবে স্টিয়ারিংয়ে রাখা হাতদুটোও কেঁপে যাচ্ছিল মাঝে মাঝে!