Nojoto: Largest Storytelling Platform

গত সপ্তাহে আমাকে ICU থেকে ছুটি দিয়েছে। কিছু ঔষধ দি

গত সপ্তাহে আমাকে ICU থেকে ছুটি দিয়েছে। কিছু ঔষধ দিয়েছে Doctor, বুকে ব্যথা হলে খেতে বলেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে দিনে তিন-চার বার বুকে খুব ব্যথা হয়। এতটাই যন্ত্রণা দেয়, যেন মনে হয় এখনি মরে যাবো। কিন্তু না। সালা আমার মরণও নেই। এত যন্ত্রণা সহ্য করার মতো না। তবে ডাক্তার বলেছেন, বেশি দিন নাকি এই যন্ত্রণা আমাকে ভোগ করতে হবে না। অল্পদিনের মধ্যেই নাকি আমি মুক্তি পাবো সব যন্ত্রণা থেকে।
দেখতে দেখতে প্রায় দুই সপ্তাহ কেটে গেল। গত দুই দিন ধরে আমার শরীরটা খুব খারাপ। খেতে পারছি না। অধিকাংশ সময়ই অজ্ঞান অবস্থায় থাকি। কারন বুকে ব্যথাটা এতটাই বেশি যন্ত্রণা দেয় যে, জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখি পরিবারের সবাই আমার পাশে বসে আছে। মা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে আমার একটা হাত ধরে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম মাকে, "মা তুমি কেন কাঁদছো? আমিতো আছি। কি হয়েছে তোমার? তোমার ছেলে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছে।"
কিন্তু মা কোন প্রশ্নেরই কোন উত্তর দেয় না। শুধুই কেঁদে যাচ্ছে। বাবার চোখেও জল। বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম,"বোন কোথায়? ওকে দেখছি না কেন?"
বাবাও কোন উত্তর দেয় না। যেন কিছুই শুনতে পায় নি। আমি নিজেই উঠে বোনকে খুঁজতে যাবো ভাবলাম। বিছানা ছেড়ে উঠতেই মনে হল আমি অনেক হালকা হয়ে গেছি। আর আমার শরীরে কোন যন্ত্রণা বা ব্যথা নেই। আমি পুরোপুরি ঠিক হয়ে গেছি। আমি আনন্দে আত্মহারা তখনো। মা, বাবা, সবাইকে বললাম যে আমি ভালো হয়ে গেছি। কিন্তু কেউ আমার কথা কানেই নিচ্ছে না। সবাই যেন কান্নায় ব্যস্ত। এদিকে দাড়িয়ে আমি সবাইকে ডাকছি, সে দিকে কারো কোন ভ্রূক্ষেপই নেই যেন। সবাই আমার বিছানার চারপাশে ঘিরে আছে আর সবাই নিজেদের মতো দুঃখ বিলাসে ব্যস্ত। আমার মনের মধ্যে একটা কৌতুহল জাগল। কি আছে আমার বিছানার ওখানে, যেটা নিয়েই সবাই পড়ে আছে। আমি ঠিক হয়ে গেছি, তা নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথাই নেই।
সামনে এগিয়ে দেখি আমার মতোই দেখতে একটা একুশ বছরের ছেলে, জরাজীর্ণ রোগাক্রান্ত চেহারা, চোখ বন্ধ করে ঘুমোচ্ছে আর সবাই তাকে ঘিরেই কাঁদছে। আমি সবাইকে খুব বোঝানোর চেষ্টা করলাম, ওটা আমি নই। এটা আমি, একদম সুস্থ-সবল, প্রাণবন্ত। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
কিছুক্ষণ পর অদ্বিতী এলো। আমি ওকে দেখে খুব খুসি হলাম। অনেকদিন পর দেখলাম ওকে। আমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর একবার ও গেছিলো আমায় দেখতে। তারপর আর এই প্রায় একমাস ধরে কোন খোঁজ খবর নেই।  আমি ওকে ডাকলাম । ডেকে বললাম যে "আমি সুস্থ হয়ে গেছি, আর কোন অসুবিধে নেই। আমরা আবার একসাথে অনেক সময়  কাটাতে পারবো।" কিন্তু অদ্বিতীও আমায় যেন শুনলো না, এমনকি আমার দিকে একটিবারের জন্যও তাকালো না। সবার মতো অদ্বিতীও ওই আমার অবয়ব ছেলের কাছে গিয়ে বসল। ওর চোখেও জল ছিল।
সবাইকে যখন বোঝাতে ব্যর্থ আমি, তখন বোঝানোর হাল ছেড়ে দিলাম। নিজেরই মনখারাপ হচ্ছিল তখন। পরক্ষণেই এটা বুঝতে পারলাম সবার কান্নার কারণ বুঝতে পারলাম। আসলে আমি মরে গেছি। মৃত্য-মুক্তি
গত সপ্তাহে আমাকে ICU থেকে ছুটি দিয়েছে। কিছু ঔষধ দিয়েছে Doctor, বুকে ব্যথা হলে খেতে বলেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে দিনে তিন-চার বার বুকে খুব ব্যথা হয়। এতটাই যন্ত্রণা দেয়, যেন মনে হয় এখনি মরে যাবো। কিন্তু না। সালা আমার মরণও নেই। এত যন্ত্রণা সহ্য করার মতো না। তবে ডাক্তার বলেছেন, বেশি দিন নাকি এই যন্ত্রণা আমাকে ভোগ করতে হবে না। অল্পদিনের মধ্যেই নাকি আমি মুক্তি পাবো সব যন্ত্রণা থেকে।
দেখতে দেখতে প্রায় দুই সপ্তাহ কেটে গেল। গত দুই দিন ধরে আমার শরীরটা খুব খারাপ। খেতে পারছি না। অধিকাংশ সময়ই অজ্ঞান অবস্থায় থাকি। কারন বুকে ব্যথাটা এতটাই বেশি যন্ত্রণা দেয় যে, জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখি পরিবারের সবাই আমার পাশে বসে আছে। মা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে আমার একটা হাত ধরে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম মাকে, "মা তুমি কেন কাঁদছো? আমিতো আছি। কি হয়েছে তোমার? তোমার ছেলে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছে।"
কিন্তু মা কোন প্রশ্নেরই কোন উত্তর দেয় না। শুধুই কেঁদে যাচ্ছে। বাবার চোখেও জল। বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম,"বোন কোথায়? ওকে দেখছি না কেন?"
বাবাও কোন উত্তর দেয় না। যেন কিছুই শুনতে পায় নি। আমি নিজেই উঠে বোনকে খুঁজতে যাবো ভাবলাম। বিছানা ছেড়ে উঠতেই মনে হল আমি অনেক হালকা হয়ে গেছি। আর আমার শরীরে কোন যন্ত্রণা বা ব্যথা নেই। আমি পুরোপুরি ঠিক হয়ে গেছি। আমি আনন্দে আত্মহারা তখনো। মা, বাবা, সবাইকে বললাম যে আমি ভালো হয়ে গেছি। কিন্তু কেউ আমার কথা কানেই নিচ্ছে না। সবাই যেন কান্নায় ব্যস্ত। এদিকে দাড়িয়ে আমি সবাইকে ডাকছি, সে দিকে কারো কোন ভ্রূক্ষেপই নেই যেন। সবাই আমার বিছানার চারপাশে ঘিরে আছে আর সবাই নিজেদের মতো দুঃখ বিলাসে ব্যস্ত। আমার মনের মধ্যে একটা কৌতুহল জাগল। কি আছে আমার বিছানার ওখানে, যেটা নিয়েই সবাই পড়ে আছে। আমি ঠিক হয়ে গেছি, তা নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথাই নেই।
সামনে এগিয়ে দেখি আমার মতোই দেখতে একটা একুশ বছরের ছেলে, জরাজীর্ণ রোগাক্রান্ত চেহারা, চোখ বন্ধ করে ঘুমোচ্ছে আর সবাই তাকে ঘিরেই কাঁদছে। আমি সবাইকে খুব বোঝানোর চেষ্টা করলাম, ওটা আমি নই। এটা আমি, একদম সুস্থ-সবল, প্রাণবন্ত। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
কিছুক্ষণ পর অদ্বিতী এলো। আমি ওকে দেখে খুব খুসি হলাম। অনেকদিন পর দেখলাম ওকে। আমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর একবার ও গেছিলো আমায় দেখতে। তারপর আর এই প্রায় একমাস ধরে কোন খোঁজ খবর নেই।  আমি ওকে ডাকলাম । ডেকে বললাম যে "আমি সুস্থ হয়ে গেছি, আর কোন অসুবিধে নেই। আমরা আবার একসাথে অনেক সময়  কাটাতে পারবো।" কিন্তু অদ্বিতীও আমায় যেন শুনলো না, এমনকি আমার দিকে একটিবারের জন্যও তাকালো না। সবার মতো অদ্বিতীও ওই আমার অবয়ব ছেলের কাছে গিয়ে বসল। ওর চোখেও জল ছিল।
সবাইকে যখন বোঝাতে ব্যর্থ আমি, তখন বোঝানোর হাল ছেড়ে দিলাম। নিজেরই মনখারাপ হচ্ছিল তখন। পরক্ষণেই এটা বুঝতে পারলাম সবার কান্নার কারণ বুঝতে পারলাম। আসলে আমি মরে গেছি। মৃত্য-মুক্তি

মৃত্য-মুক্তি