Nojoto: Largest Storytelling Platform

New emptiness statue Quotes, Status, Photo, Video

Find the Latest Status about emptiness statue from top creators only on Nojoto App. Also find trending photos & videos about, emptiness statue.

    LatestPopularVideo

Ananta Dasgupta

"না। আমি মরব না। এত তারাতারি আমার প্রান বেড়াবে না কিন্তু একজনের কাছে আমি হেরে গেছি ভাই। সবসময় চেষ্টা করি, ওর জন্য কিছু করার। ওকে ওর সামনে বলার, ও কি আমার জন্য। ওকে আগলে রাখার, ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে ওর সমস্ত আবদার শোনার, একবার ওর কোলে মাথা রেখে শান্তির ঘুম দেওয়ার। তারপর যদি আমার চোখ আর না খোলে, তাহলেও কোনো আফসোস নেই। কিন্তু আমি এইটুকু নিয়ে বাঁচতে পারব ভাই।"

"যদি কিছু না পাস আর যদি ঈশা চিরকালের জন্য চলে যায়, এই শহর, এই দেশ ছেড়ে, তাহলে?"

 সঙ্কল্পের এই প্রশ্নে একটা বজ্রপাত করল অয়নের মনে আর বৃষ্টি শুরু হল বাইরে। অয়ন চুপ হয়ে গেছে। বৃষ্টির জলে বহুদিন পরে অয়ন ভিজল। চোখ বন্ধ করে আকাশের প্রত্যেক মেঘের গর্জন লক্ষ্য করছে। 

"এই শহর আমাকে খেয়ে ফেলবে। আমি কি করব, কিছু জানিনা। আমার ঈশা ছাড়া আর কেউ নেই। যদি ও না থাকে, তাহলে আমি নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলব। হয়তো বেঁচে থাকবো, কিন্তু কি ভাবে আর কতটা, জানিনা।" অয়নের ঝড় থামছে না। 

"জানিস ভাই, আমি ওর থেকে কখনো কিছু চাইনি, ওর ভালোবাসা ছাড়া। কিন্তু সালা আমার কপাল দেখ। যেটুকু চেয়েছিলাম সেটাও পাইনি।" অয়ন হেঁসে উঠল। 

"ওর কাছে আমাকে দেয়ার মত কিছু নেই। না সময়, না ভালোবাসা, না কথা, না মন।" অয়ন আকাশের দিকে অপলক তাকিয়ে রয়েছে। 

"ঈশা চলে যাবে। সেও চলে যাবে। আমাকে সম্পুর্ন ফাঁকা করে দিয়ে চলে যাবে, বিনা কোনো দ্বিধা, বিনা কোনো চিন্তায়।" অয়ন কথা গুলো নিজেকে মনে করাচ্ছে। 

"কেউ এতটা পাথর কেন হয়ে যায় ভাই, যেখানে নিজের ভালোবাসার মানুষকে এক মুহুর্তের জন্য আগলে রাখা যায়না? একবারের জন্য তাকে কাছে পাওয়া যায়না?" সঙ্কল্পের কাছে কোনো উত্তর নেই। 

"তোর কাছেও জবাব নেই। বেশ ভালো। এই জন্যই বলেছিলাম, তুই বাড়ি যা।" 

"দেখ, এবার বৃষ্টি নেমে...." অয়ন ঘুরে কথা শেষ করতে যাবে তখন দেখল পিছনে একটু দুরত্বে ঈশা দাড়িয়ে।

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #emptiness #importance

Ananta Dasgupta

"তোকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছি, উত্তর দিবি?" সঙ্কল্প বলল। অয়ন না হ্যাঁ বলছে না না। 

"সে ভালোবাসে তোকে?"
"জানিনা।"

"তোকে নিয়ে কি ভাবে, জানিস?"
"জানিনা।"

"কখনো বলেছে সে ফিরে আসবে তুই বললে?"
"জানিনা।"

"তোর প্রতিটা দিন কি ভাবে যাচ্ছে, সে জানে?"
"জানিনা।"

"তাহলে বোকাচোদা, তুই জানিস টা কি? নিজেকে এই ভাবে কষ্ট দেয়ার কি মানে আছে। এতটা ক্ষতি করছিস কেন নিজের?" 
"আমি জানিনা।" অয়ন চিতকার করে উঠল। 

"আমি কিছু জানিনা। আমি জানিনা, আমি কেনো এরকম হয়ে যাচ্ছি। আমি তোর একটাও প্রশ্নের উত্তর জানিনা। আর জানলেও দিতে পারব না। আমি শুধু এইটুকু জানি কি আমি একটা অন্তহীন অপেক্ষায় নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছি। আমি মরব না বাঁচব, আমি জানিনা। আমি জানি আমার কাছে আমার বলে কিছু নেই।" অয়নের গলা বসে গেছে। সঙ্কল্প ধরতে গেল, কিন্তু সড়িয়ে দিল তাকে। 

"আমি কেন ছুটে যাই এত তারাতারি, জানিস?" অয়ন সঙ্কল্পের কাছে এসে বলল। "যাতে একবার কোথাও ওকে রাস্তায় দেখতে পাই। যাতে ৫ মিনিট হলেও ওর কাছে থাকতে পারি। একবার ওর আওয়াজ শোনার জন্য ছটফট করি, ওর একটা মেসেজের জন্য বসে থাকি। এই সবের তোদের কাছে কোনো ভ্যালু নেই তাই আমি পাগল, কিন্তু আমি এরকমই। তোদের মত আমার লাইফ সিম্পল না, আর যদি ঈশা কে বাদ দিয়ে আমাকে নিজের লাইফ সিম্পল করতে হয় তাহলে আমার চাই না কোনো সিম্পল লাইফ।"

"কি চাই তাহলে তোর? নিজেকে মেরে ফেলবি নাকি নিজেকে হারিয়ে ফেলবি?" সঙ্কল্পের চোখে জল। ও না অয়নের এই তাপ সহ্য করতে পারছে আর না যেতে পারছে। অয়ন এত নেশা করেছে সিগারেটের কি এবার ও সবকিছু হালকা ঝাপসা দেখছে।

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #bengalistory #emptiness #influencer

Ananta Dasgupta

"কি রে? ব্যাগ নিয়ে তো বেড়িয়ে গিয়েছিলি, আবার ফিরে আসলি?" সঙ্কল্প জানে অয়ন ইচ্ছা করেই অফিসে লেট করে থাকতো, কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখতো। অয়ন কিছু উত্তর দিল না। সিস্টেম অন করে মেইল খুলল আর তার পর শুরু করল রিভিউর কাজ। একটা রিভিউ করতে প্রায় ১৫-২০ মিনিট লাগে আর অয়ন নিজের কাছেই ৪০ টা মত ফাইল নিয়ে নিয়েছে। 

"এই! তুই আমার ভাগের জিনিস গুলো কেন নিয়েছিস?" সঙ্কল্প নিজের খালি ফোল্ডার দেখে বলল। 

"তুই বাড়ি যা। তোর কাছে তোর কাছের লোক আছে। ওদের সময় দে। বাড়ি যা।" অয়ন কোনো দিকে না তাকিয়ে উত্তর দিল। 

"তোর নেই না কি?" সঙ্কল্প অয়নের কাঁধে হাত রেখে বলল। 

"না। কেউ নেই। আমি যখন নিজেই নিজের মত নেই তো আমার কে হবে!" অয়নের গলা ভারি হয়ে এসেছে কিন্তু একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে সেটাকে কন্ট্রোল করে রেখেছে। 

"চল বাইরে চল আমার সাথে। ঘরে গিয়ে কাজ করিস। ওঠ।" সঙ্কল্প অয়ন কে বেড়াতে বলল। অয়ন মোবাইল টা নিতে যায় তখন বলল- "মোবাইল ডেস্কে রেখে যা। নিয়ে যাবি না।" অয়ন চুপচাপ মোবাইল রেখে বেড়িয়ে গেল। দুজনে টেরেসে পৌঁছে গেছে কিন্তু ১০ মিনিট মত অয়ন কিছু বলেনি। পর পর ধোঁয়া টেনে যাচ্ছে একটা শেষ করে আরেকটা, আবার আরেকটা। 

"কি হয়েছে তোর হঠাৎ? এরকম অবস্থা কেন শুরু হয়েছে তোর?" অয়ন তাও চুপচাপ আর এইটা সঙ্কল্পের ধৈর্য শেষ করছে। যখন দেখল অয়ন নিজের চোখে মুচ্ছে তখন বলে উঠল। 

"তোর মতো উন্মাদ আর তোর মতো গাধা আমি জীবনে আরেকটা দেখিনি।" অয়ন অবাক হয়ে সঙ্কল্পের দিকে তাকাল। 

"বিশ্বাস কর, তোকে ভদ্র ভাষায় কথা বললাম না হলে যদি মানুষের একটা খুন মাফ থাকতো, তাহলে সেটা তোকে করতাম।" সঙ্কল্প চিতকার করে কথা শোনাচ্ছে। 

"তাহলে মেরে ফেল। এমনিতে আমি একটু একটু করে শেষ হচ্ছি। দিন দিন একটু করে মরছি। তুই না হলে এই উপকার করে দে।"

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #emptiness #theessence

Kuldeep Singh

Poet Abdul Qadeer

#emptiness #SAD

read more

deepak kr. Chanchal

very old statue #Bhakti

read more

Ananta Dasgupta

"ওনাকে একটু বসতে বল, আমি এইটা শেষ করে আসছি।" অয়ন আস্তে করে বলল। অভিষেক বিনা কোন শব্দ বের করে ওখান থেকে বেড়িয়ে যায়। মিটিং শেষ করে অয়ন বেড়ায় আর ওর চোখ পড়ে নীল কুর্তি পড়া একটি মেয়ের ওপর। কিছুক্ষণের জন্য দুজনেই একটু থতমত খেয়ে যায়, কিন্তু নিজেকে স্থির করে দুজন একে অপরের দিকে এগোয়। দেখা যে কত দিন পর হয়েছে তা অয়নের ভাল করে মনে আছে, কিন্তু আগে দেখা হলে গলা মিলতো যেখানে একটু সংকোচ বোধ আছে। কারন হল ঈশার মাথার সিদুর আর তার হাতে থাকা শাখা-পলা। 

"তুমি এখানে হঠাৎ?" অয়ন জিজ্ঞাসা করল। 

"কেন, আসতে পারিনা?" ঈশা প্রশ্ন করল পালটে। অয়ন ভাবছে, সোজা উত্তর কখনই দেয়া শিখল না। 

"আমি সেরকম কিছু বলিনি। এখানে হঠাৎ দেখে অবাক হয়ে গেছি, তাই বললাম। যাই হোক, আশা করি সব ভাল আছে এখন তোমার লাইফে।"

"ওই চলছে।" আবার একটা সিম্পল কিন্তু জটিল উত্তর দিল ঈশা। 

"আজ এখানে শুধু আমার সাথে দেখা করতে এসছ না কি অন্য কোন কাজও আছে?" অয়নের কথা গুলো ঈশা ছাড়া ছাড়ার মত মনে করল কিন্তু কিছু বলল না। 
"আমার একটা ইন্টারভিউ ছিল এই বিল্ডিংয়ে। ফার্স্ট রাউন্ড হয়ে গেছে, কিন্ত সেকেন্ড রাউন্ড হতে দেরি আছে। ভাবলাম এর পরে আসতে পারব কি না, তাই এখন চলে আসলাম।" 

এর আগে অয়ন কিছু বলতে যাবে তখন তার এক কলিগ বেড়িয়ে এসে বলল, "সবাই নিচে আছে, তোকে ডাকছে। চল!" 

"আসছি, সংকল্প। তুই এগো।" সংকল্প ঈশা কে আপাদমস্তক দেখল যেটা ঈশা বুঝতে পেরেছে কি ছেলেটা ওকে চেনে। 

"যদি তোমার দেরি না হয় তাহলে কি নিচে আসবে একবার?" অয়ন আস্তে করে জিজ্ঞাসা করল। ঈশা হাঁসি মুখে মেনে নিতে দুজনে লিফট নিয়ে নিচে যায়। লিফটে ভিড়ের মধ্যে ঈশা ফিসফিস করে বলল, "তোমার বন্ধু আমাকে এই ভাবে দখল কেন? আমি তো তাকে চিনি না।" অয়ন হাতের ইশারা করে চুপ থাকতে বলে পড়ে বলার ইংগিত করল। লিফটের মধ্যে অয়ন চেষ্টা করছে যাতে ঈশার সাথে ওর চোখ না মেলে। তাও ও হালকা বুঝতে পারছে, মনে হয় ঈশা ওর দিকেই তাকিয়ে আছে। গ্রাউন্ড ফ্লোরে আসতে ওর নজর ঈশার কাছে গেল। দেখল ও বাইরের দিকে তাকিয়ে। কি জানে কত বার ভুল আশায় হেরেছে অয়ন, ঈশার ক্ষেত্রে। 

"আসলে সংকল্প তোমাকে নাম হিসাবে চেনে। আই এম সরি কিন্তু ও তোমাকে ঠিক পছন্দ করে না।" অয়ন বলল। 

"কিন্তু কেন?" ঈশা হঠাৎ দাড়িয়ে জিজ্ঞাসা করল। অয়ন না খেয়াল করে একটু এগিয়ে গেছিল। পিছনে ঘুরে ও ঈশার দিকে তাকায়। উত্তর টা অয়ন দিতে চায়না। ঈশা ওর মুখ দেখে বুঝতে পেয়েছে কিন্তু নিজের চোখ অয়ন থেকে সরায়নি। অয়ন চোখ ফেরাতে ঈশা বলে উঠল- "অয়ন! বলো আমাকে।"

©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #Storywriting #emptiness

Sanny

would famous statues ❤️ #statue #viral #Videos

read more

Dr.Madhumita Mulia

Pinky Kumari

garden statue || #viral_video #treanding #short_video nojoto❤ #viral_video #समाज

read more
loader
Home
Explore
Events
Notification
Profile