Find the Best হয়ে Shayari, Status, Quotes from top creators only on Nojoto App. Also find trending photos & videos about
Swapan Dewanji
কাশ ফুল তুমি পাখা মেলে দুলছ কার জন্য ? নীল আকাশের সাদা মেঘ?তুমিও কার জন্য হন্য, লাল মাটির রাস্তা,তুমি আরো লাল হয়ে আছো কেন দূরের ঐ ঢাকির ঢাকের বোল,কাকে খুঁজতে ব্যস্ত যেন। চারিদিকে অজস্র শিউলির ঝরানো ফুলের চাদর নীচে সবুজ ঘাসের তোষকের উপর পেতেছ কেন? কিছুর আনন্দে,পরিশ্রান্ত হয়ে ওরা যদি শুতে চায় তার জন্যই বুঝি তুমি সবকিছু সাজিয়ে রেখেছ যেন। সারা বছর ধরে পরে থাকা ছেড়া জামাপ্যেন্ট গুলো এক টানে খুলে নিয়ে পরিয়ে দেয় নতূন,ঐ কিপটেটা, কাকে অভ্যর্ধনার জন্য মুখিয়ে আছে,দীঘি ভর্তি পদ্ম চারপাশে চাপা উত্তেজনায় কুমোড় পাড়ায় কিসের ছটা। এখানে নেই কোনো অর্থের প্রয়োজন,নেই মার্কেটিং ভগবানের নামে এক চোখ ধাধানো জৌলুস রোসনাই, এখানে আছে শুধু ভক্তি প্রেমের এক দৃড় বিশ্বাসের ভূমি মা আসার আনন্দে,সর্বহারা উৎসবে মা প্রনাম তোমায়। মা।
SREYAN ROY
DD SIR এর বাড়ির পিছনের এই জায়গাটার পরিচয় আমাদের কাছে শুধু গ্যাস গোডাউন হিসেবে নয় , এটা আমাদের অফিসিয়াল toilet zone। এই একটা জায়গার সঙ্গে কত কথা জড়িয়ে আছে তার ঠিক নেই। যদি সব কথা বলতে হয় তবে বোধ হয় পুরো একটা বই হয়ে যাবে। তবুও কিছু মেমোরেবল ঘটনার কথা তুলে ধরছি। প্রথম দিন পড়তে গিয়ে আমরা tmc পার্টি অফিসে এর পাশে ছোট কাজটা করতে যাই কিন্তু লোকজন হকি স্টিক বাট নিয়ে তাড়া করায় অন্য জায়গা খুঁজতে হয়। তারপর আমরা যাই পুকুরপাড়ে। এখানেও কুকুরের তাড়া খেয়ে আমাদের পালাতে হোয়। তারপর লাস্ট অপশন হিসেবে আমরা গ্যাস গোডাউন এর সামনে যাই। আর এটাই হয়ে ওঠে আমাদের Hustle ground। গল্প শুরু করি আমাদের পাল মশাই কে দিয়ে। এই ছেলে টাকে আমি কত ভাবে নির্যাতন করেছি আখন ভাবলে নিজের কষ্ট হয়। আমরা প্রতিদিন toilet করা র সময় অন্য কে খোচাতাম । অরিন্দম এটা পছন্দ করত না , ফল স্বরূপ আরো বেশি করে ওকে খোচাতাম। একদিন মাফিয়া ওকে পিছন দিয়ে সবে খোঁচা মারতে যাবে হঠাৎ অরিন্দম ঘুরে গিয়ে ওকে তাড়া করে। আমি মজা দেখেছিলাম হঠাৎ দেখি আমার দিকে ছুটতে ছুটতে আসছে, আমার উপায় ছিল না , শেষ পর্যন্ত একটা ঘুষি পালবাবু কে মারতেই হলো। গুষি খেয়ে পালবাবু কিছুক্ষন এর জন্য বসে পড়েছিল । উঠে কিছুটা শান্ত হয়ে পালবাবু মাফিয়া কে ইংলিশ এ কিসব বলল , তারপর খোড়াতে খোড়াতে চলে গেলো, সেইসব কথার একটাই আমাদের মাথায় ঢুকে ছিলো "YOU ARE NOTHING FOR ME"। এর একটা ঘটনার কথা মনে পড়ছে, একবার পালবাবুর সঙ্গে আমার ঝগড়া হয় দুজনেই অধালা ইট তুলে নি। কিন্তু বাকিরা এসে আমাদের শান্ত করে আর ইট ফেলে দিতে বলে । পালবাবু তখন ই ইট ফেলে দায় এর toilet korte jay, anake debam DD sir er বাড়ির দিকে নিয়ে যায় , আমার হতে ইটটা তখন ও ছিল , দেবাম সেটা ফেলে দিতে বলে , আমিও পিছন এ ছুড়ে ফেলে দিলাম । হঠাৎ দেখি অরিন্দম চিৎকার করছে , আমি আর গেলাম না স্যার এর বাড়ি চলে এলাম , কিছুক্ষন পরে পালবাবু দেখি খোড়া তে খোড়া তে আসছে । এসেই একটা বেঞ্চ তুলে আমাকে মারতে গেলো , আমি তো হতবাক, বাকিরা কোনো মতে ঠকালো । পরে মাফিয়া আমাকে বলেছিল পালবাবু যখন গান গাইতে গাইতে ছোট কাজ করছিল তখনই কথেককে একটা পাথর এসে ওর midile স্ট্যাম্প উড়িয়ে দিয়েছে , তখন আমি বুজলাম যে ইট টা আমি ছুড়ে মেরেছিলাম সেটা দুটো পাঁচিল টপকে পুরো ঠিক জায়গাতে লেগেছে। পাল মশাই রক্ত দেখে ভয় পেত, একবার আমার কাচে হাত কেটে যায়, পাল মশাই ভয় পাচ্ছে দেখে সেই রক্তাক্ত হাত নিয়ে যন্ত্রণা উপেক্ষা করে পাল বাবু কে তারা করি। সর্দারজি ও একবার " BALLS OF STEEL" উপাধি পেছিল , সেই ঘটনাটা একবার বলা দরকার। সর্দারজি র সঙ্গে একবার লড়তে লড়তে সর্দারজি গায়ের উপর পড়ে যাই, হাঁটু টা গিয়ে লাগে পুরো বল এর উপর। কিন্তু টা সত্তও সর্দর জি উঠে দাড়িয়ে শুধু কোমর ডলতে ডলতে চলে যায়। আরো প্রচুর ঘটনা আছে , এগুলো তো শুধু তার কয়েকটার নমুনা, আগেই বলেছি সব বলতে গেলে বই লিখতে হবে। সর্দারজি র ট্রাক এর উপর মূত্র বিসর্জন করা , ভূতের গান, কুকুরের সঙ্গে লড়াই, মাফিয়ার আশীর্বাদ ,সব বলে শেষ হবে না । আজ সবাই বিভিন্ন জায়গায় রোয়েছে , কিন্তু আজও DD SIR ER BARIR SEI সন্ধ্যা সাতটার কথা মনে পড়ে।।।
Utpal Das Sujan
পূজোর ইচ্ছে ষষ্ঠী থেকে দশমী সবদিনই নতুন লাগবে। কিন্তু সেটা হয়তো ইচ্ছে থাকলেও উপায়ে পরিণত হয়নি তাদের কাছে। কিন্তু তাদের হাত ধরে মণ্ডপে যাওয়া আর নিজের হাতে বন্দুক যেন একটা আলাদা জগৎ , নতুন আমি। এখন হয়তো নতুনের সমারোহ আছে আমার কাছে, কিন্তু মনে পরে এই পূজোতে যারা একটা নতুন জামার অপেক্ষা করে - তাদের কথা। এটাই কি বড়ো হয়ে ওঠা ? এবার তাদের জন্য ভেবেছিলাম নতুন কিছু কিন্তু বাস্তবে পরিণত করতে পারিনি। পরের বছর হয়তো বাস্তবে পরিণত করবে পারবো , তারাও পড়বে আমাদের মতো নতুন জামা। আচ্ছা এই সব ভাবনা কোথা থেকে এলো জানি না কিন্তু, একটা প্রশ্ন - এটাই কি বড়ো হয়ে ওঠা ? পুজোর ইচ্ছে♥️
Ratul Mahmud
★ যৌবনের আদিমতা ★ এখনো আমরা বড্ড আদিম, প্রেমিকার বুকে ভালোবাসার পাহাড় খুঁজে ফিরি বিছানাস্বর্গে যৌবনের হিংস্রতায় মেতে উঠি দেবতাদের সাক্ষী করে কামশক্তির চিত্রাঙ্কন করি। প্রেমিকার উড়নচণ্ডী চুল, বিধ্বংসী ঠোঁট, রক্তিম ললাট, স্পর্শকাতর স্তন, কারুকার্যখচিত কোমর থেকে শুরু করে নিতম্ব, যোনী কিংবা উরু দিয়ে ক্রমশ যৌবন চুয়িয়ে পড়ছে। এ যৌবন ছোঁয়ার অধিকার আমার নেই সে অধিকার এখন অন্যকারো সে যৌবন এখন অন্যকারো অপেক্ষায় বসে থাকে। প্রাক্তনের যৌবনের ব্যবচ্ছেদ করা হলো একটা নীল শাড়ি আর সঙ্গে কিছু রংতামাশা বেরিয়ে আসলো বেরিয়ে আসলো আরো কিছু সুখস্মৃতি এবং একটা বিছানাস্বর্গ, যেখানে চিত্রাঙ্কন করেছিলাম আমরাও। এখনো আমরা বড্ড আদিম, প্রাক্তনের সুখস্মৃতিতে বিষাক্ত হয়ে উঠি কালগোখরোকে হার মানিয়ে ভয়ার্ত ছোবল দিয়ে বসি অকৃত্রিম ভালোবাসাকে হারিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে উঠি। এতো আধুনিকতার পরও অন্ধকারে আমরা আদিমতার সাক্ষী হই, পরষ্পরের নেশায় নিজেকে ভুলে যাই। এখনো আমরা বড্ড আদিম, প্রেমের ছলে প্রেমিকার হাতে হাত রাখি, ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে দিয়ে স্বপ্নস্বর্গে হারিয়ে যাই পক্ষান্তরেই প্রয়োজনে যাযাবর হয়ে অন্য শহরের পথিক হই। © রাতুল মাহমুদ যৌবন
Ratul Mahmud
★ যৌবনের আদিমতা ★ এখনো আমরা বড্ড আদিম, প্রেমিকার বুকে ভালোবাসার পাহাড় খুঁজে ফিরি বিছানাস্বর্গে যৌবনের হিংস্রতায় মেতে উঠি দেবতাদের সাক্ষী করে কামশক্তির চিত্রাঙ্কন করি। প্রেমিকার উড়নচণ্ডী চুল, বিধ্বংসী ঠোঁট, রক্তিম ললাট, স্পর্শকাতর স্তন, কারুকার্যখচিত কোমর থেকে শুরু করে নিতম্ব, যোনী কিংবা উরু দিয়ে ক্রমশ যৌবন চুয়িয়ে পড়ছে। এ যৌবন ছোঁয়ার অধিকার আমার নেই সে অধিকার এখন অন্যকারো সে যৌবন এখন অন্যকারো অপেক্ষায় বসে থাকে। প্রাক্তনের যৌবনের ব্যবচ্ছেদ করা হলো একটা নীল শাড়ি আর সঙ্গে কিছু রংতামাশা বেরিয়ে আসলো বেরিয়ে আসলো আরো কিছু সুখস্মৃতি এবং একটা বিছানাস্বর্গ, যেখানে চিত্রাঙ্কন করেছিলাম আমরাও। এখনো আমরা বড্ড আদিম, প্রাক্তনের সুখস্মৃতিতে বিষাক্ত হয়ে উঠি কালগোখরোকে হার মানিয়ে ভয়ার্ত ছোবল দিয়ে বসি অকৃত্রিম ভালোবাসাকে হারিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে উঠি। এতো আধুনিকতার পরও অন্ধকারে আমরা আদিমতার সাক্ষী হই, পরষ্পরের নেশায় নিজেকে ভুলে যাই। এখনো আমরা বড্ড আদিম, প্রেমের ছলে প্রেমিকার হাতে হাত রাখি, ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে দিয়ে স্বপ্নস্বর্গে হারিয়ে যাই পক্ষান্তরেই প্রয়োজনে যাযাবর হয়ে অন্য শহরের পথিক হই। © রাতুল মাহমুদ আদিমতা
অভ্রনীল
কোন একদিন হারিয়ে যাব আমি তোমার এই ব্যাস্ত নগরী থেকে। আমার অস্তিত্ব ধুলোয় মিশে যাবে নয়তোবা হারিয়ে যাবে শত সহস্র লোকের ভীরে। কারো মনের কোনে কিংবা স্মৃতির আড়ালে ঠাই হবেনা আমার। তবে আমি ফিরে আসবো তোমার ব্যাস্ত নগরীতে শুংসাং নিরবতা নিয়ে। কখনো মাঘের সন্যাশী বা শরতের কাশফুল হয়ে নয়তোবা বসন্তের বাহারি ফুলের সাজে নতুবা গ্রিষ্মে চৌচির হওয়া ফসলের ধানের শীসে সর্বশেষ বর্ষায় বৃষ্টি হয়ে। তোমার স্পর্শের শিহরণ আমি বুঝলেও আমার স্পর্শের অনুভুতি তোমার কাছে কোন আবেদন রাখবেনা।
Penname Sayan
উড়ালপুলের সামনে এসে ক্যাবচালক সজোরে ব্রেক্ কষে গাড়িটা থামিয়ে দিল। ক্যাবচালক বললেন " স্যার , গাড়িটা কি উপর দিয়ে নিয়ে যাব না নীচ দিয়ে?? সকাল থেকে শরীর টা খারাপ , কথাটা শুনে দুশ্চিন্তাটা বেড়ে গেল। ভাবলাম সিন্ডিকেট রাজের চুনসূড়কিতে জোড়াতাপ্পি মারা পুলের উপর দিয়ে গেলে যদি দুর্ঘটনায় জান চলে যায় এবং ভাগ্যক্রমে শরীরটা ভালো থাকে তাহলে অন্তত বেওয়ারিশ লাশ হয়ে লাশকাটা ঘরে থাকতে হবেনা।আর শনাক্ত না হলে পরিবারটা রাস্তায় এসে দাড়াতে হবে , LIC তো দুরঅস্ত। নীচ দিয়ে গেলে তো কংক্রীটের চাপে মাংসের শস্ হয়ে যাবে। না । চালককে বললাম উপর দিয়ে যেতে। দেখলাম অজস্র গাড়ী ছুটে চলেছে নিজেদের গন্তব্যে। মন টা হাল্কা করে স্ত্রীকে কে ফোন করে শুধালাম পুলের উপর দিয়ে যাচ্ছি , আধ ঘন্টায় যদি কোন খোঁজ না পাও টিভি টা খুলে খবর শুনো। আর LIC র কাগজ আলমারির নীচের ড্রয়ারের উপরের তাকে বাদামী ফাইলের মধ্যে রাখা আছে। আকাশের দিকে তাকালাম , গাড়ির রেডিয়ো থেকে ভেসে এলো "তবু মনে রেখো" - সায়ন
Penname Sayan
হতাশা আসে , যায় ! শেখায়ও অনেক কিছু।। প্রত্যেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে হতাশার শিকার হয় সে যে কোনো কারনেই হোক। কেউ এরকম পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জন্ম থেকেই অর্জন করেনা , তোমার ভেতরের অজেয় মানসিকতা কে জাগ্রত করার কাজটা ই যে বড় কঠিন। হ্যাঁ , তবে কেউ পারে , কেউ পারেনা। যারা পারে তারা উদাহরন আর যারা চলে যায় তারা স্মৃতি হয়ে থেকে যায়। আমার ও একই দশা হয়েছিল। হ্যাঁ তবে ঘুরে দাড়াতে পেরেছি হয়তো আজকে। তবে উদাহরন হিসেবে নয় , হতাশা জয় করাটাই মানুষের পরিচয়। আমার প্রিয় এক বন্ধু হারিয়ে গেছে এ পৃথিবীর থেকে, তাই হতাশা কে হারিয়ে সেই বন্ধু হারানোর মধুর প্রতিশোধ আমি নিয়েছি , জীবনের জয়গান গেয়েছি । আমার বন্ধুর জন্য লেখা কিছু লাইন তার জন্য ই উৎসর্গ করলাম। "জীবনের বন্ধুর পথে হাটঁতে হাটঁতে আজ আমি ক্লান্ত , পরিশ্রান্ত। মন গুমরে কেদেঁ উঠে বলে শুরুটা তো ভালোই হয়েছিল , তবে কোথায় সেই লক্ষ্য কে জয় করার দূর্নিবার আকাঙ্খা , যা প্রতিনিয়ত আমার ক্ষনভঙ্গুর মনে কষাঘাত হানে?? নেমেছিলাম এই সমুদ্রে নিজেকে বিন্দু জলকনা থেকে জলতরঙ্গে পরিনত করতে , কিন্তু আমার শরীর বিষাক্রান্ত , আমি ক্লান্ত , আমি পরিশ্রান্ত।চেয়েছিলাম সেই ঐশ্বরিক বলে আমার অঙ্গে অঙ্গে ছড়িয়ে যাবে বসন্তের চিরলালিত্যের বাহার , উন্মাদনা , অজেয় মানসিকতা।। কিন্তু জীবনের বিংশসনে আপাদমস্তক বিষক্রিয়ায় জর্জরিত আমি। দোষটা আমারই ছিল!সহজ রাস্তা ছেড়ে বন্ধুর পথ ধরেছিলাম আমি , কিন্তু আমার অগ্রজ দের এ কেমন ত্রিকালদৃস্টি যা সহজ তরুন তনয়ের জীবনে আনে অমাবস্যার ছায়া?? তবে হাটঁতে হবে ওদেরই দেখানো পথ ধরে , তাই তো শিখে এসেছি এতদিনে। তবে ভয় পাই ! যখন দেখি আমারই সমাবস্থাপ্রাপ্ত আমার চেয়ে তরুন , সবুজ , সতেজ প্রানগুলি যারা মাথা উচুঁ করে বাচঁতে চেয়েছিল , তারা বেদনার গাঢ় রসে নিমজ্জিত হয়ে , বিদায় জানিয়েছে এ ধরিত্রী কে!! তখন বড্ড একা লাগে ! কিন্তু এই শরীর সঙ্গ দিচ্ছেনা , সে নিস্তেজ!! জীবনের এই পথে চলতে চলতে আমি পড়ে যাই বারে বারে , আমি ক্লান্ত , আমি পরিশ্রান্ত। তবুও ঘনোঘোর মেঘের মধ্যে যদি একফালি আলো ফোটে , সে আশায় হাল ছাড়িনি এখনও।হেটেঁ যাচ্ছি আমি দুরন্ত এই পৃথিবী তে , জানিনা কবে সকাল হবে , কবে আমি পাব সেই পুরাতন ছন্দ! আজ আমি ক্লান্ত , পরিশ্রান্ত ।।" সকাল হয়নি , সে হারিয়ে গেছে চিরতরে, আমি বেচেছিঁ , সে আমার মধ্যে বেচেঁ আছে।। ## তমাল স্বরনে - সায়ন
Anup Dey(প্রেম)
'হাওয়ার কাছে ছটফটে খুব পাতার কাছে স্থির। প্রজাপতির আয়ুর মতোই আমাদের তকদির- ফুলের কাছে সোহাগ সোহাগ, গাছের কাছে ঘৃণ্য অভিযোগের স্বল্প আকার। ছায়ায় বিস্তীর্ণ...' শমিতের চিঠির শুরুর চারটে লাইন পড়েই কেঁপে উঠলো পর্ণা। কাব্যি করতে কবে থেকে শুরু করেছিল শমিত? ছোট থেকেই তো বাংলার সাথে আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক! সে প্রায় বছর তিরিশ আগের কথা। প্রথম যেদিন রংনাম্বারে তাদের আলাপ সেদিন উল্টোপারের ছেলেটা ঠিক করে কথা অবদি বলতে পারতো না। একবছর ধরে তারা শুধু ফোনে কথা বলেছে দিনরাত। বেশির ভাগ সময় তো তাকেই কথা বলতে হতো। আর ওই পারে শমিত শুধু 'হুঁ,হ্যাঁ' দিয়েই সারা। তারপর এলো সেইদিন। তাদের প্রথম দেখা.. আবার চিঠিটার দিকে মুখ নামালো পর্ণা... 'সেদিন ভীষণ কালচে আকাশ, ঝড় উঠেছে বুকে- ভিড় স্টেশনে চাঁদ উঠলো, তোমার শান্ত মুখে। প্রাচীন কোনো গাছের পাতা, শুকিয়ে যাওয়ার পরে- যেমন করে উড়ে উড়ে যায় কালবোশেখী ঝড়ে, তেমন হলো মনের দশা, তোমার দু-চোখ দেখে চিতায় উঠেই মানুষ যেমন শান্তি পেতে শেখে।' চিঠিটা হাতে নিয়ে উঠে দাঁড়ালো পর্ণা।নিচের তলা থেকে কিসের যেন আওয়াজ হচ্ছে। খোলা জানলার কাছে এসে দাঁড়িয়ে সে দেখলো কিছু লোক কাপড় আর বাঁশ নিয়ে এসে গেটের কাছে জড়ো করছে। আর দুটো লোক কোদাল আর গাঁইতি নিয়ে পাশে মাটি খুঁড়ছে। বাঁশগুলো পুঁতবে বোধহয়।জানলাটা বন্ধ করে আবার বিছানায় এসে বসলো। চিঠিটা খুলে পড়তে শুরু করলো .. 'তোমার বাবা মন বোঝেনা। মায়ের চোখের জল- ঝর্ণা হয়ে বইতো তোমার গালে অনর্গল। আমিও তখন বাউন্ডুলে, আহত, খুব জ্বর। ঠোঁটের নীচে অল্প জমি, ইবাদতের ঘর। নুন আনি আর পান্তা ফোরায়, হার মানিনি তবু- বেকার ছেলের পকেট ফাঁকা। বুকভর্তি সবুর। তুমিও ঠিক দিকভোলা এক জলফড়িংয়ের মতো- সকল ব্যাথায় পাখনা মেলে জুড়িয়ে দিলে ক্ষত।' ঝাপসা হয়ে এলো চোখের ভিতরটা। শমিতের কাছে সত্যিই তো তখন পর্ণা ছাড়া আর কেউ নেই। রোজ রোজ বাবার হাতে অত্যাচারিত হওয়া তার একটা গাঢ় অন্ধকার জীবনে শমিত যেমন অসংখ্য জোনাকির আলো নিয়ে এসেছিল, তেমন শমিতের জীবনেও তো সে নিজে চাঁদের থেকে কম কিছু ছিলোনা। একের পর এক ব্যর্থতা যখন শমিতকে গ্রাস করে নিচ্ছিল তখন একমাত্র সে নিজে ছাড়া আর কেউ শমিতকে সামলাতে পারতোনা। শক্ত করে নিজের সব ভাঙ্গনে শমিত ওর হাতটা বরাবর ধরে থাকতো। দুনিয়ার সব্বার দিকে আঙুল তুললেও পর্ণা বুকে টেনে নিলেই তো লোকটা এক লহমায় ঠান্ডা হয়ে যেত। চোখ ভিজে গেলো। ভালোবাসা জেদের কাছে বড্ড নিষ্ক্রিয়। আবার চোখ নামালো চিঠির দিকে... 'চিঠির কাছে মুহূর্ত দিই, প্রেমের কাছে ইতি- ভুল ঠিকানার এপার ওপার স্মৃতির বিস্তৃতি। দেহের কাছে দুহাত পাতি, মনের কাছে আয়না- দগদগে সব ঘা দেখা যায়, তোমায় দেখা যায়না। জেদের কাছে নতজানু হই, প্রেমের কাছে ম্লান, প্রতিশ্রুতি বয়সে বড়, সম্মানে অভিমান। কেমন করে ভাঙলে সকল, সোহাগ, আদরভূমি? দাঁড়িয়ে আজও ঠায় সেখানেই। কোথায় আছো তুমি?' একটা ছোট্ট ভুল বোঝাবুঝি থেকে কথা বলা বন্ধ হয়ে গেছিলো ওদের। শমিতকে প্রচন্ড ভালোবাসতো বলেই পর্ণা কোনদিনই সহ্য করতে পারতো না শমিতের অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বলা। সেবার অফিস ট্রিপের শেষে, বিদেশ থেকে ফেরার পর যখন ফেসবুকে কিছু ছবি দেখে জানতে পারলো যে শমিত তার এক বান্ধবীর সাথে দেখা করতে গেছিলো , আর নিজেকে সামলাতে পারেনি পর্ণা। সেই যে সবকিছু ভেঙে গেলো, আর কিছুতেই ঠিক করতে দেয়নি সে শমিতকে। শমিতের হাজার চেষ্টা করার পরেও জেদ থেকে একটুও নড়েনি সে নিজে। তারপর রোহন এলো তার লাইফে। আর ফেরত আসার কথা একবার ও ভাবেনি পর্ণা। কোনোদিনও। এর মধ্যেই কাকীমা এলো একবার। ভাঙা গাল, এলোমেলো চুল, দিকভ্রান্ত চোখ। ঘরে ঢুকে জানলাটা খুলে দিয়ে চলে গেলো। কথা বললো না একটাও। বেশ বুঝতে পারলো তার আসাটা একদমই পছন্দ করেনি কাকিমা। শেষবার যখন কাকিমার সাথে দেখা হয়েছিল তখন কাকিমা তাকে নিজের মেয়ের থেকে কম কিছু ভাবত কি? মনে করার চেষ্টা করলো পর্ণা। জানলার কাছে আর একবার উঠে গেল। ওরা বাঁশগুলো বেঁধে ফেলেছে, এবার কাপড় দিয়ে ঢাকবে। শমিত যে কবে থেকে কবিতা লিখতে শুরু করেছে তার খবর কোনোদিন পায়নি পর্ণা। আসলে খবর নিতেই চায়নি সে কোনোদিন। আবার ফিরে গেল চিঠির পাতায়। চোখ মুছে পড়তে শুরু করলো... ' ভুল বুঝে তুমি হারিয়ে গ্যালে, অবিশ্বাসের অরণ্যে- ভালোবাসার ভাঙন আছে। ভেতর থেকে মরণ নেই। তারপরে আর খোঁজ রাখনি, কেমন আছো, ভালো? আমার পাড়ায় নামিয়ে আঁধার, কোথায় প্রদীপ জ্বালো? হয়তো এখন সব ভুলিয়ে শরীর শরীর সুখে- তুমি গল্প শুনে ঘুমিয়ে পড়ো মিথ্যেকথার বুকে। মন তবুও কেমন বোকা। তোমার পাড়ায় চলে। অন্ধ ভাবে লোকে আমায়। আলোর গল্প বলে। যাও উড়ে যাও, মন পাখি আজ, তাকে খবর দিও আর জ্বলি না এখন আমি। ভীষণ নিষ্ক্রিয়... যাওয়ার সময় হয়ে এলো। বিদায় কলম, গিটার.. তোমরা আমায় শান্তি দিলেও মুক্তি দেবে চিতা। এই জনমে হলোনা তো ছাই। পরের জনমে তবু.... চাইবো তাকে সব্বার থেকে। পৃথিবী বলবে 'কবুল'।' শমিতের দাদা কখন পাশে এসে দাঁড়িয়েছে খেয়াল করেনি পর্ণা। খবরটা শমিতের দাদাই দিয়েছিল তাকে কাল অফিসে গিয়ে। আর হাতে এই চিঠিটা। চোখে চোখ পড়তেই রুমালটা এগিয়ে দিলো দাদা। বললো 'চোখ'টা মোছ। তোর বর আর ছেলেকে নিয়ে আসিস কিন্তু কাল। শমিতের শেষ ইচ্ছা ছিল...' - দাদা তোমরা ওকে বোঝাও নি কেনো? - চেষ্টা করিনি ভাবছিস? তুই তো চিনতিস ওকে। ও কারোর কথা শুনতো ,তোর ছাড়া? কাউকে চিনতো তোকে ছাড়া? কেনো এমন করলি বল তো তুই? একবার কথা বলতে পারলিনা....? কেঁদে উঠলো দাদা। পর্ণার পর শমিতের খুব কাছের বলতে এই একটা লোকই ছিল। চোখ মুছতে মুছতে আস্তে আস্তে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে। ওদিক থেকে মুখটা ঘুরিয়ে পর্ণা এবার চিঠিটার শেষের দিকটা পড়তে শুরু করলো - 'এই চিঠি তুমি পাবে যেদিন জারি হবে সমন- সেদিন তোমার ব্লকলিস্ট থেকে উঠিও আমার নাম। আর কোনোদিন হবেনা দেখা, করবোনা আর ফোন। জীবন দিয়েই শিখবো প্রিয়া, উপেক্ষাদের দাম। সেদিন তুমি কাঁদবে নাকি ছিঁড়েই দেবে আমায়! নিথর ঠোঁটে ঠেকাবে কি তোমার নরম গাল? ঠোঁটের রঙিন দাগ রেখো প্লিজ আমার মলিন জামায়, নিপুণ হাতে লুকিয়ে নিও খুন আর তরোয়াল...। মাফ করেছি তোমায় কবেই। এইটুকু স্রেফ জেনো... আজন্মকাল তোমার প্রেমে বিদ্ধ এ লোক, তোমায় ছাড়াই তোমার সাথে বৃদ্ধ হলো। তোমায় ছাড়াই তোমার সাথে বৃদ্ধ হলো.... #Read_the_full_article 'হাওয়ার কাছে ছটফটে খুব পাতার কাছে স্থির। প্রজাপতির আয়ুর মতোই আমাদের তকদির- ফুলের কাছে সোহাগ সোহাগ, গাছের কাছে ঘৃণ্য অভিযোগের স্বল্প আকার। ছায়ায় বিস্তীর্ণ...' শমিতের চিঠির শুরুর চারটে লাইন পড়েই কেঁপে উঠলো পর্ণা। কাব্যি করতে কবে থেকে শুরু করেছিল শমিত? ছোট থেকেই তো বাংলার সাথে আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক! সে প্রায় বছর তিরিশ আগের কথা। প্রথম যেদিন রংনাম্বারে তাদের আলাপ সেদিন উল্টোপারের ছেলেটা ঠিক করে কথা অবদি বলতে পারতো না। একবছর ধরে তারা শুধু ফোনে কথা বলেছে দিনরাত। বেশির ভাগ সময় ত
Avijit Srimani ✍️
আজ "শুভ মহালয়া" বলাটা ঠিক ? পুরাণ বিশেষজ্ঞ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো ওই ওপরের প্রশ্নটাই। মহালয়া শুভ নয়। আর মহালয়ার সঙ্গে দুর্গাপুজোর কোন সম্পর্কই নেই। কারণ, এই দুর্গাপুজোটাই অকালের পুজো। বসন্তকালের জায়গায় শরৎকালে। ফলে মহালয়া আর পুজোর ধারণাটাই তেল-জল ব্যাপার, মেশার কথাই নয়।উনি যা বললেন, হুবহু লিখছি : "এটা মিথলজিক্যলি ভুল। এটা যে দেবীপক্ষের শুরু, এই ভাবটা আসতে শুরু করেছে। কিন্তু মহালয়াটা দেবীপক্ষের শুরু নয়। প্রতিপক্ষে (বা, প্রতিপদে - যাকে অনেকেই ভুল করে "প্রথমা" বলে দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী-র আগে...) দেবীপক্ষের শুরু হয়। মহালয়াটা পিতৃপক্ষের শেষ। এটা সেই হিসেবে একটা বিরহের দিন। পিতৃলোকের সঙ্গে মর্ত্যলোকের সংযোগের দিন। শাস্ত্রমতে পরলোকগত পিতৃপুরুষেরা এই দিনে পিতৃলোক ছেড়ে অনেক নিচে নেমে আসেন বর্তমান পুরুষদের তর্পণ আর পুজো নেওয়ার জন্য। ফলে, মর্ত্যলোকের কাছে তাঁদের একটা বিরাট আলয় বা আবাস তৈরি হয়। তাই, মহা + আলয় - মহালয়। আর, তিথি হিসেবে স্ত্রীলিঙ্গ - তাই শেষে আ-কার যোগ হয়ে মহালয়া। তাই, শুভ মহালয়া না বলে "শুভ পুজো" বলাটাই ভালো। আর, আজকের এই বিরহের দিনটাকে এইরকম শুভ না বলতে চাইলেও বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র মহাশয় এমনই অসাধারণ একটা কাজ করে গেছেন, যে ধন্যবাদটা তাঁকে না দিলেই নয়। একটা মানুষ তাঁর কাজের জন্য মিথ হয়ে যেতে পারেন, একটা বিরহের দিনের ভাবনাকে যে বদলে দিতে পারেন, সেই ভদ্রলোককে তাঁর কাজের স্বীকৃতি দিতেই হবে। এটা একমাত্র ওনার কন্ঠস্বরের যাদুতেই সম্ভব হয়েছে!" # মহালয়া