Find the Best bengalistory Shayari, Status, Quotes from top creators only on Nojoto App. Also find trending photos & videos aboutlove shayari in bengali for girlfriend with the word nilanjana, love shayari in bengali for girlfriend, love quotes for him in bengali, bengali sad love quotes that make you cry, bengali sad poem of love,
Ananta Dasgupta
কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পরে জ্যোতি রাস্তা তে আর দেখা গেল না। অভ্র ভালো করে দেখল আর তার পর আবার দোকানে এলো। --"দাদা, আরেকটা দাও।" --"এতো কেন স্যার?" দোকানদার জিজ্ঞাসা করল। --"তুমি নিজের দোকানের কথা ভাব দাদা, আমার শরীরের কথা না।" অভ্র হাঁসতে হাঁসতে বলল আর সিগারেট নিয়ে এগিয়ে গেল। মোবাইল থেকে আবার গল্পটা পড়া শুরু করল। গল্পটা হাতে লেখা আর সেটা গল্প বললেও চলবে না। একটি চিঠি। অভ্র আবার পড়া শুরু করল- "আমি সেরকম পরিস্থিতি তে নেই যেখানে তোমার কথা শুনতে পাব। আমার কিছু দায়িত্ব আছে যেটা আমাকে তোমার কাছে যেতে আটকে দিচ্ছে। তুমি আমাকে স্বার্থপর ভাবতেই পারো কিন্তু আমার সাথে কি ঘটছে, একমাত্র আমি জানি। আমি কোন পরিস্থিতি দিয়ে চলে চলেছি সেটা আমি তোমাকে কখনই বলে বোঝাতে পারব না। আমি জানি আমি অনেক ভুল ডিসিশন নিয়েছি এর আগে, হয়তো এই কাজটা আমার নিজের ব্যক্তিগত জীবনে একটা সীমারেখা টেনে দেবে কিন্তু সবার ভালোর জন্য আমাকে এইটা করতে হবে। তোমার জন্য আমার খারাপ লাগে কেননা আজকের সময় দাড়িয়ে আপাতত তুমিই একমাত্র বন্ধু যে আমাকে কোনদিন জজ করেনি, কোন প্রশ্ন তোলেনি। আমি জানি এই লেখাটা পড়ার সময় তোমার মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন, অনেক রাগ, হয়তো ঘৃণা ও আসতে পারে কিন্তু যদি তুমি বুঝতে পার তাহলে একটা অনুরোধ করছি- নিজের জীবনে এগো কেননা য়ু ডিসর্ভ বেটার, এরকম জেদি আর ছন্নছাড়া লাইফস্টাইল ধরে থেক না। আর হ্যাঁ, আমাকে কথা দিয়েছিলে, স্মোকিং না করার, সেটা যেন না হয়। ভালো থেকো--- অন্বেষা।" সিগারেটের শেষ ছাই ফেলে আগুন নিভিয়ে অভ্র বসে উঠল আর এসে উঠল নিজের একান্ত জায়গায়। রাস্তা পার করে একটা ছোট্ট চায়ের দোকান। --"আবার আজ দেরি?" --"হ্যাঁ, ওই আর কি। দাও আমার জিনিস পত্র দাও।" অভ্র এইটা বলতে লোকটা একটা ছোট ভাঁড়ে চা আর ওর স্পেশাল সিগারেট ধরিয়ে দেয়। --"একটা কথা বলার ছিল দাদা।" --"হ্যাঁ বল না।" চায় চুমুক দিতে দিতে অভ্র জিজ্ঞাসা করল। --"ওই ম্যাডাম মাঝে মাঝে আসতেন এখানে আর তার পর চলে যেতেন চা খেয়ে...." --"ভালো কথা তো। আপনার এক নতুন ক্রেতা জুড়ল।" অভ্র মাঝখানে বলে ঘুরে চা খাওয়া শুরু করল। --"একা একা খাচ্ছেন মিস্টার রয়।" হঠাৎ একটা চেনা পরিচিত আওয়াজ শুনে অভ্র চমকে উঠল। আওয়াজ শুনে পিছনে ঘুরল আর চোখ পড়ল সেই মানুষের ওপর যে অভ্রের জীবনের অঙ্গীকার। অভ্র চায়ের ভাঁড় ফেলে তার দিকে এগিয়ে গেল। --"কেমন আছো?" অন্বেষা সামনে এসে জিজ্ঞাসা করল। ©Ananta Dasgupta #bengalistory #anantadasgupta #part2
#bengalistory #anantadasgupta #part2
read moreAnanta Dasgupta
--"এ ভাই, হয়েছে তোর কাজ আজকের? ঘড়ি তে দেখেছিস কটা বাজে?" অভ্রের হেডসেটে একটা তীব্র কন্ঠে আওয়াজ আসল। --"হ্যাঁ রে, আর কিছুক্ষণ। আমি আসছি।" অভ্র উত্তর দিল। "তোর এই কিছুক্ষণ শেষ হতে হতে অফিস ফাঁকা হয়ে গেছে, রাস্তা খালি হতে চলেছে আর দোকান গুলো এবার বন্ধ হচ্ছে। একটু বলবি বাবা, তোর এই "কিছুক্ষণের" মেয়াদ কত?" --"কিছুক্ষণ"। ১ ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করতে করতে জ্যোতির ধৈর্য দেয়ালে ঠেকা খেয়েছে। --"তোকে আমি অফিসে ঢুকে কেলিয়ে আসব বলে দিচ্ছি ছাগল কোথা কার।" অভ্রের উত্তর শুনে জ্যোতি চটে গেছে। ওইদিকে অভ্র নিজের কাজ গুটিয়ে অফিস থেকে বেড়াল আর মোবাইলে একটা গল্প পড়া শুরু করল। মোবাইল দেখতে দেখতে অভ্র লক্ষ্য করেনি কি ও রাস্তার মাঝামাঝি এসে দাড়িয়ে পড়েছে। একটা বাইক সামনে এসে ব্রেক না কসলে অভ্র বাজে ভাবে ধাক্কা খেত। --"ও দাদা! ব্রেক চাপলেন কেন? ঠুকে দিতে হত।" জ্যোতি চেঁচিয়ে বলল কিন্তু লোকটা ততক্ষণে বেড়িয়ে গেছে। কাচুমাচু মুখ করে অভ্র সামনে দাড়াল। --"তুই কোন দিন এই মোবাইল দেখার চক্করে নরক দেখে ফেলবি, আমি বলে দিলাম। কি দেখিস মোবাইলে এত, হ্যাঁ? দেখা তো দেখি।" অভ্র চট করে মোবাইল পকেটে রেখে দিল। জ্যোতি কটমট করে ওর দিকে তাকাল। --"আচ্ছা এই নে।" অভ্র মোবাইল বের করে ওকে দিল। --"গুড বয়।" জ্যোতি মোবাইল নিল। অভ্রের মোবাইলে কোন লক প্যাটর্ন নেই। অনেকে বলে যার মোবাইলে লক নেই সে আজকের সময় সবচেয়ে পরিষ্কার লোক। --"এটা তুই কত হাজার বার পড়ে নিয়েছিস বল তো?" জ্যোতি মোবাইল ফেরত দিয়ে জিজ্ঞাসা করল। --"গুনে গুনে কেউ আবার পড়ে নাকি!" নিজের চা আর সিগারেট নিয়ে বসল অভ্র। জ্যোতি আর কোনো কথা বাড়াল না। সিগারেটের ধোঁয়া হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে অভ্র ঠান্ডা হাওয়া টা অনুভব করছে। --"দ্যা ফেমস অভ্র বয়। সবার ঝামেলা সর্ট আউট করে নিজের জিনিস গুলো ধোঁয়ায় উড়িয়ে দিচ্ছে।" অভ্র কথাটা শুনে হেঁসে উঠল। --"৭ মাস তো হয় গেল ভাই। এখনও তুই সেখানেই আছিস?" জ্যোতির কোনো কথার উত্তর দিল না অভ্র। একটা শেষ করে আরেকটা ধরাল। ঘড়ি তে সময় দেখে জ্যোতি বলল ওকে বেড়াতে হবে। --"শোন, টাকা দিতে হবে না। আমি দিয়ে দিয়েছি। আর একটু তাতারি বাড়ি যা।" অভ্র মাথা নেড়ে নিজের বন্ধু কে বিদায় দিল। ©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #bengalistory #Part1
#anantadasgupta #bengalistory #Part1
read moreAnanta Dasgupta
কেমন আছো? (2.) ©Ananta Dasgupta #bengalistory #bengaliwriting
Ananta Dasgupta
রাতে কথা বলার সময় বুঝতে পারল আয়না কোনো কারণে অভিমান করেছে। কারণটা জানতে পেরে বেদান্ত বুঝতে পারল না যদি আয়না বেদান্ত কে পছন্দ না করে তাহলে এই ঈর্ষা কেন! তখন জিজ্ঞাসা করল জোর করে এইটা জানার জন্য যে আয়না তাকে ভালোবাসে কি না। কিন্তু নিজের জেদের ওপর দাঁড়িয়ে আয়না কিছু বলল না। বেদান্ত সারা রাত আয়নার কাছে সেই একটাই প্রশ্ন করে গেল কিন্তু কোনো উত্তর আসল না। অন্য কোনো মেয়ে থাকলে হয়তো এতক্ষণে বেদান্তের ওপর একটু রুঢ় হয়ে যেত কিন্তু আর যা হলেও, আয়না বেদান্ত কে কখনো জোর গলায় কিছু বলেনি। শেষে যখন বেদান্তের জেদের সামনে পারছে না তখন গিয়ে একটাই কথা বলল- --"তুমি আমার জীবনে আমার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে এসেছ? তুমি আমাকে একটুও শান্তি দেবে না, বল?" তারপর আয়না ঝড়ঝড় করে কেঁদে ফেলে। বেদান্ত এদিকে ওর কাছে যাওয়ার জন্য ছটফট করছে কিন্তু মাঝরাতে হাত পা বাঁধা। বেদান্তের কাছে কোনো উত্তর নেই। কথাটা ওকে তীরের মতো বিদ্ধ করে কিন্তু কিছু বলল না। --"ঠিক আছে। কেঁদো না। আমি কথা দিচ্ছি আমি আর তোমার সামনে আসব না।" তারপর দু'দিন বেদান্ত আর আয়না কোনো কথা হয়না। আয়না ওকে দেখতে চাইত কিন্তু জানতে পারল বেদান্তের হঠাৎ শরীর খারাপ করেছে যার কারণে সে অফিসে আসেনি। আয়না অফিসে ঢুকতে গিয়ে দুর থেকে লক্ষ করে বেদান্ত কে। দ্রুত পায়ে হেঁটে পৌঁছে যায় ওর সামনে। দেখে মনে হচ্ছে বেদান্ত দুর্বল হয়ে গেছে, ইচ্ছা হলো একবার ওকে বুকে জড়িয়ে ধরতে কিন্তু দুজনেই একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসল আর নিজের অফিসে ঢুকে পড়ল। দুপুরে বেদান্ত কে আয়না জানিয়ে দিল গার্ডেনে থাকতে। যা হোক করে কাজ শেষ করে আয়না দৌড়ে গেল নীচে যেখানে বেদান্ত বসে। বেদান্তের পাশে এসে বসল আয়না আর কিছূক্ষন পরে গলা জড়িয়ে ধরল। বেদান্ত এইটা আশা করেনি। ওর হৃদস্পন্দন করছে দ্রুত গতিতে। আয়নার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে আসতে করে কানের কাছে গিয়ে বলল --"আমি আছি তো এখানেই।" আয়না মুখটা বুকের ভিতরে গুজে দিয়ে ওর শার্ট আঁকরে ধরল। বেদান্তের মনে হল আয়না হয়তো কাঁদছে। --"এখন কেনো কাঁদছ? মাথাটা তোলো।" --"আর ৫ মিনিট।" বলে আয়না প্রায় অনেকক্ষণ জড়িয়ে ধরে রইল। মাঝের মধ্যে একবার করে একবার করে বেদান্তের চোখে দেখছে আর আবার বুকের ভিতরে মাথা রেখে দিচ্ছে। বেদান্ত সারাক্ষণ আয়নার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে ঠোঁটটা আয়নার কপালে ঠেকাল। --"এখন তো ভালো আছো। আমি আর জালাচ্ছি না। বার বার প্রশ্ন করে বিরক্ত করছি না।" আয়না সোজা হয়ে বসতে বেদান্ত বলল। --"তোমার অভ্যাস হয়ে গেছে। জানিনা কেনো?" আয়না এইটুকু বলে দাড়িয়ে পড়ল যাওয়ার জন্য কিন্তু বেদান্ত সামনে টেনে ধরল। হাতটা আয়নার কোমরে পেঁচিয়ে সক্ত করে ধরে রাখল। আয়না বেদান্তের খুব কাছে এসে গেছে আর নিজেকে সামলানোর অনেক চেষ্টা করছে। --"কেনো আয়না? আমার জন্য ভাবছ, চিন্তা করছ, ঈর্ষা করছ, বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছ কিন্তু স্বীকার করতে পারছ না? কেনো পালাচ্ছ নিজের থেকে?" আয়নার যত বার মুখ নীচু করছে তত বার বেদান্ত কোমরে আরও চাপ দিচ্ছে। আয়না নিজেকে আর সামলাতে পারছে না কিন্তু ওর মুখ থেকে কোনো জবাব বের হয়নি। বেদান্ত কোনো উত্তর না পেয়ে নিজের নাগাল থেকে আয়না কে ছেড়ে দিল --"উত্তর দেবে না। দিও না। আজকের পর থেকে এই বেদান্তের চেহারা তুমি দেখতে পাবে না। যাও, বাড়ি যাও।" --"কেনো করছ তুমি এরকম বেদান্ত?" বেদান্ত কোনো উত্তর দিল না। ব্যাগ উঠিয়ে যখন এক পা পিছিয়ে গেল ঠিক তখন আয়না বেদান্তের কলার ধরে তাকে কাছে টানে। "হ্যাঁ, ভালোবাসি। প্রচন্ড ভালোবাসি। আমি নিজের জিনিস কারো সাথে ভাগ করব না, তাই ঈর্ষা করি।" এইটা বলে আয়না বেদান্ত কে আবৃত করে ধরে নিজের ঠোঁট মিশিয়ে দেয় বেদান্তের সাথে। প্রায় কিছুক্ষণ পরে চুম্বন ভেঙ্গে আয়না বুকের ভিতরে মাথা রাখে। --"আয়না, অনেক রাত হচ্ছে। বাড়ি যাবে না?" --"হুমম! যাব। আর ৫ মিনিট।" ©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #bengalistory
Ananta Dasgupta
আয়না প্রত্যেক দিনের মত তৈরি হয়েছে অফিসের জন্য কিন্তু তার মন লেগে আছে মোবাইলের দিকে। কারোর অপেক্ষায় বোধহয়। কিন্তু সমস্যা এইটা কি নিজের ব্যাকুলতা কাউকে বলতে পারবে না সে। সমস্যার একটা খুব সুন্দর নাম রেখেছিল হিমানী- "আমার অসহ্য" ছেলেটার সাথে তার পরিচয় হয় কয়েক মাস আগে। হিমানী যে ফ্লোরে কাজ করে তার দুটো ফ্লোর পরেই ছেলেটার অফিস। প্রায় লিফটে দেখা হতো। দেখা পরিনত হয় কথা বার্তায় আর তারপর বন্ধুত্ব। অদ্ভুত এক বন্ধু। আয়নার জীবনে এসে সবকিছু যেন হঠাৎ করে পালটে দিল। আয়না আর ও প্রায় অনেকটা একে অপরের ব্যপারে জেনে গেছিল। ছেলেটা ওকে যত জালাত তত মনে হয় হিমানীর সারা জীবনে কেউ করেনি। কিন্তু ছেলেটার কোনো কথা ফেলত না সে। একদিকে তো দিব্যি সব ভালো চলছে ওর সাথে কিন্তু আরেক দিকে একটা ভয়। যে আয়নার জীবনে আসে সে তাকে ঠিক সেই সময় ছেড়ে চলে যায় যখন আয়নার সেই মানুষটাকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এই কথাটা ছেলেটি জানত কিন্তু আয়নার মধ্যে থেকে সে এই এত বছরের চাপা ভয় কি ভাবে বের করবে বুঝতে পারত না। এইদিকে আয়না ও হুটহাট করে ছেলেটার ওপরে রেগে গিয়ে অনেক ভুলভাল কথা শুনিয়ে দিত কিন্তু অদ্ভুত ভাবে ছেলেটা অভিমান করলেও আয়নার হাত ছাড়েনি। কিছু মাস পর ছেলেটা বুঝতে পারে সে আয়না কে পছন্দ করে। ঠিক ততটাই যতটা একটা মানুষের মনের মধ্যে জায়গা থাকা দরকার। প্রথমে ছেলেটা মানতে চায়নি কেননা এত কম সময়ের মধ্যে এত একটা গভীর অনুভূতি হওয়া খুব অযুক্তিকর একটা কথা। কিন্তু এই অযুক্তিকর ব্যপারটা ছেলেটার সাথে ঘটে। আয়না এইটা জানত না কিন্তু সে যেই জিনিস গুলি অনুভব করত সেটা কখনও করেনি। আয়না প্রায় ছেলেটার হাত ধরে অফিসের গার্ডেন এরিয়া তে ঘুরত। যেহেতু রাতের সময় সেখানে কেউ যায়না তো ওরা ওখানেই অনেকক্ষণ আড্ডা দিত। ছেলেটার হাত রাখতেই আয়না একটু অন্য রকম অনুভব করত। একদিন কথা বলতে বলতে প্রায় কাঁধে মাথা ঠেকিয়ে দেয়, আলাদা একটা শান্তি। তা ছাড়া ছেলেটার সাথে কথা বলার একটা অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। একদিন ছেলেটা এই কথাটা আয়না কে জানায় তখন আয়না কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বলে --"বুঝলাম বেদান্ত কিন্তু তুমি সবটাই জানো এইজন্য এই সব ভেব না।" বেদান্ত তারপর আর কখনও কথাটা তোলেনি কিন্তু ওর মনে হতো হয়তো আয়না ইচ্ছা করে কিছু চেপে রেখেছে যেটা বাইরে আসা খুব দরকার না হলে আয়না মধ্যে গুমরে থাকবে। একদিন হঠাৎ আয়না দেখে বেদান্ত তার সামনে থেকে অন্য এক মেয়ের সাথে বেড়িয়ে গেল। জিনিসটা বেদান্ত ইচ্ছাকৃত করেনি কিন্তু আয়নার খারাপ লেগেছে। ©Ananta Dasgupta #bengalistory #FiveMinutes #anantadasgupta
#bengalistory #FiveMinutes #anantadasgupta
read moreAnanta Dasgupta
জলের ঝাপটায় রক্ত ধুয়ে গেল ওর মুখ থেকে কিন্তু গাল থেকে খসে পড়া চামরা আর মাংস থিতিয়ে গেছে। অমিত প্রায় বেহুশ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু চোখ বন্ধ করলে ওর ওপর থেকে আরো যাতনা যাবে। অমিত জেনে গেছিল আজ ও বাঁচতে পারবে না, কিন্তু মানুষ মৃত্যুও সামান্য চায় আর ওর সামনে মৃত্যু সামান্য ভাবে দাড়িয়ে ছিল না। --"যখন তোরা কারোর ওপরে অত্যাচার করিস, তখন মনে হয়না ওর কত জ্বালা যন্ত্রণা হবে? মেরে দেওয়া খুব সহজ হয়ে যায় তোদের জন্য। মেয়েটা কে মেরে দেওয়ার সাথে সাথে তোরা মেরে দিস একটা ঘর আর ওদের জীবন। খুব তাড়াতাড়ি আইনের ফাঁক দিয়ে বেড়িয়ে আসিস। বাপের টাকা আর পাওয়ারফুল লোকের সাপোর্ট আছে।" তৃষ্ণা চোখ থেকে জল মুছে চেয়ার থেকে উঠল আর একটা ব্যাগ নিয়ে আসল। --"তোর জন্য ওষুধ এনেছি।" বলে হাতের মুঠোয় একটা জিনিস বের করল। অমিত দেখে থরথর করে কাঁপছে। যেই চোখ বন্ধ করতে যাবে তখনই তৃষ্ণা বলল। --"তোর চোখ যেন বন্ধ না হয়।" বলে তৃষ্ণা হাতে নুন আর লংকাগুড়ো মেশানো পাউডার অমিতের গায় মাখানো শুরু করল। শরীরের ঘায়ের মধ্যে প্রত্যেকটা জায়গায় যেন কেউ হাজার হাজার সুঁচ একসাথে গেঁথে দিচ্ছে। অমিতের চিৎকারের সাথে ওর প্রান বেড়াচ্ছে না। --"তুই তো কাটা মুরগির মত ছটফট করছিস রে। মনে নেই যখন রেপ করার পড়ে মেয়েটির গায়ে নখ দিয়ে আঁচড় ফেলছিলিস। এতটাই গভীর যে ওর বুকের থেকে মাংস বেড়িয়ে গেছিল। একটু দেখ কেমন লাগে।" তৃষ্ণা পুরো ব্যাগ খালি করে দিল অমিতের গায়ে। --"তুই আমাকে এবার মেরে ফেল। আমি আর পারছি না।" অমিত কাঁদতে কাঁদতে বলল আর নিজের চোখ বন্ধ করে ফেলল। --"তথাস্তু!" তৃষ্ণা অমিত কে পিছন থেকে ধরে তুলল আর বসিয়ে দিল গরম লোহার রডের ডগায় যেখানে সেই গরম রডগুলির মধ্যে একটি তার গুহ্যর ছিদ্র ভেদ করে তার অন্ত্রে আঘাত করে ভিতরে গলিয়ে দিয়েছে। অমিত চিৎকারের অবস্থায় তৃষ্ণা ওর মুখ থেকে জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলে দিল। অমিতের মুখ থেকে ঝরনার মত রক্ত পড়া শুরু হয়ে গেল। তৃষ্ণা দেখল অমিতের শেষ রক্ত বিন্দু পড়া ওবধি ওর চোখ বন্ধ হয়নি। ©Ananta Dasgupta #revenge #bengalistory
Ananta Dasgupta
--"এখানে না। অন্য কোথাও।" হঠাৎ চুম্বন ভেঙে দিয়ে তৃষ্ণা বলল। --"আমার ফ্ল্যাট ফাঁকা আছে, ওখানে?" অমিত নিঃশ্বাস ফেলতে গিয়ে বলল। --"ফ্ল্যাট ইজ় বোরিং। তুমি গাড়ি বের করো আর যেখানে আমি বলব সেখানে দাড়িয়ে যেও। তাহলে তুমি যা বলবে আমি তাই করব।" তৃষ্ণা আস্তে করে অমিতের প্যান্টের উপর তার শিশ্নে হাত বুলিয়ে এগিয়ে গেল। অমিত গাড়ি নিয়ে বেড়াল আর কোনো সময় নষ্ট না করে গাড়ি দৌড় করাল। অনেকটা এগিয়ে এসে তৃষ্ণা একটা ফাঁকা জায়গায় গাড়ি থামাল। জায়গাটা শহর থেকে একটু দুরে। রাতের অন্ধকারে বেশি কিছু বোঝা যাচ্ছে না। শুধু দুরে কিছু জায়গায় আলো দেখা যাচ্ছে। অমিত তৃষ্ণা কে ধরতে যাবে তখনই তৃষ্ণা একটু আটকে বলল। --"খুব তারা তোমার।" একটু শয়তান হাঁসি দিয়ে অমিত তাকাল তৃষ্ণার দিকে। ওই অন্ধকারেও অমিত যেন স্পষ্ট দেখতে পারছে তৃষ্ণা কে। অমিতের বেল্ট বের করে ওর প্যান্ট নামাল তৃষ্ণা আর হাটুর ভরে বসল। অমিত কিছু বুঝতে পারত এর আগেই অমিত তীব্র একটা জ্বালা অনুভব করল। নীচে তাকিয়ে দেখল সেই সুন্দর মুখটার ওপরে অমিতের শরীরের রক্ত। তৃষ্ণা মুখ থেকে ব্লেড টা বের করে দাড়াল অমিতের সরাসরি। অমিতের শিশ্নের ওপর ভাগ থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল। অমিত যতক্ষণে তৃষ্ণার দিকে এগোতো, তৃষ্ণা অমিতের মাথাটা ধরে গাড়ি তে মেরে দিল আর অমিত অচেত হয়ে নিচে পরে গেল। যখন চোখ খুলল তখন দেখল ওর হাত বাঁধা আছে দু দিকে আর গায়ে কাপড়ের একটা টুকরো নেই। সামনে তৃষ্ণা বসে আছে একটা চেয়ারে। --"তুই কে? কি করেছি আমি তোর সাথে?" অমিতের প্রশ্নের কোনো উত্তর দিল না তৃষ্ণা। একটা ছবি দেখাল যেটা দেখে অমিতের সারা গা ঠান্ডা হয়ে গেল। যেই ও তৃষ্ণার দিকে তাকাল, তৃষ্ণা ওর গালের মধ্যে জোরে একটা ঘুষি মারে। তৃষ্ণার হাতে কাঁটা বাঁধা গ্লাভস ছিল। অমিতের গালের চামরা আর মাংস রক্তের সাথে বেড়িয়ে আসে। প্রথমে ডান গাল তার পর বাঁ গালে একেরপর এক ঘুষি চালিয়ে গেল। --"যখন চিনে গেছিস, তখন জায়গাটি দেখ আর মনে কর।" তৃষ্ণা সারা জায়গার লাইট জ্বালিয়ে দিল। জায়গাটা দেখে অমিত ভয় কেঁপে উঠল। --"সাল ২০২৪। এই জায়গায় তুই আর তোর চারটে বন্ধু মিলে আমার বন্ধু কে মেরে ছিলিস। রিপোর্ট অনুযায়ী শী ওয়াস ব্রুটালি রেপ্ড এন্ড মার্ডরড। প্যান্টের নীচে রক্ত খুব বেশি দৌড়ায়, তাই না!" অমিত তৃষ্ণার অন্য রুপ দেখে আরও ভয় পাচ্ছে। এদিকে তৃষ্ণা একটা চাবুক নিয়ে আসে যেটা কাঁটা তারে বাঁধা। অমিতের গায়ে বৃষ্টি পড়ল চাবুকের। অজস্র ঘা অমিতের গায়ে কিন্তু তৃষ্ণার হাত থামেনি। অমিতের চিৎকার ওকে আরও তীব্র আঘাত করার জন্য সাহস দিচ্ছে। পা থেকে মাথা পর্যন্ত অমিত ক্ষত বিক্ষত হয়ে রয়েছে। যখন তৃষ্ণা চাবুক রাখল তখন কোনো ভেজা কাপড়ের মত ওখান থেকে রক্ত পড়ছে টপ টপ করে। অমিত প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। ওর গায়ের সমস্ত জায়গা থেকে খুবলে মাংস বেড়িয়ে এসেছে। কান একদিক থেকে কেটে ঝুলছ আর ঝড় ঝড় করে রক্ত বয়ে চলেছে। --"আহারে! খুব ব্যথা করছে?" চুলের মুঠি ধরে চেহারাটা নিজের সামনে নিয়ে আসল আর জলের ঝাপটা দিল। --"যত বার তুই চোখ বন্ধ করবি, তোর মৃত্যু আরও কষ্টকর করব।" ©Ananta Dasgupta #revenge #bengalistory
Ananta Dasgupta
অরিন্দম অফিসে ঢুকতেই ওর মাথার ওপর কাজ চাপিয়ে দেওয়া হল। ক্লাইন্টৈর ডেডলাইনের বাহানা লাগিয়ে মেল করে দিল কি আজকের মধ্যে সমস্ত রিপোর্ট লাগবে। অরিন্দম কাজ করে দেয় কিন্তু অহেতুক কিছু জিনিস ওর সহ্য না। ওর টিমের সমস্ত এল1 দের ডাকল ওদের পুরো সপ্তাহের কাজের জন্য। সবার শেষে ডাক পড়ল প্রিশা। প্রিশা গত সপ্তাহে কোনো কাজ করে উঠতে পারেনি আর অরিন্দম এর জন্য কথা শুনেছে। প্রিশা কে কেবিনে ডেকে অনেকক্ষন বোঝাল কিন্তু একটু কড়া করে। প্রিশা চলে যেতে কাজ নিয়ে বসল অরিন্দম। কাজের মাঝে কখন লাঞ্চ হয়ে গেছে ওর কোনো টের নেই। হঠাৎ ফোন বেজে ওঠে আর দেখে প্রিশা কল করছে। --"বল! কিছু লাগবে তোমার?" --"ঘড়ি তে কটা বাজে দেখেছ?" অরিন্দম দেখল প্রায় খাওয়ার সময় পেড়িয়ে গেছে কিন্তু প্রিশা কে বললে আবার দশটা কথা হবে তো কিছু কথা বাড়াল না। --"আমি খেয়ে নেব। তুমিও খেয়ে নাও।" --"আমার খাওয়া হয়ে গেছে। আমি কল করেছিলাম কেননা আমাদের কে আজকে হাফ ডে দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তুমি সেই যে কেবিনে ঢুকেছ, আর বেড়াওনি। মেসেজ করলাম কিন্তু কোনো কথা নেই।" --"বাহ! বেশ ভালো। যাও বাড়ি গিয়ে রেস্ট নাও।" --"আমি বলেছি তোমাকে আমি বাড়ি যাচ্ছি? আমি আমাদের চায়ের ঠেকে যাব। তোমার ছুটি হলে বল।" অরিন্দম কথা শুনে অবাক হয়ে গেল। অকারণে একটা মেয়ে ৪-৫ ঘন্টা অপেক্ষা করবে এইটা ওর ভালো লাগেনি। --"প্রিশা আমার এক গাদা কাজ পরে আছে। যদি খুব তাড়াতাড়ি করি তবুও এখনও ৪:৩০ ঘন্টা বাকি। তুমি বাড়ি চলে যাও।" --"আমি তোমাকে রিকুয়েস্ট করছি না। জানাচ্ছি। আমি আছি।" প্রিশা বলে ফোন রেখে দিল। --"কি করবে অপেক্ষা করে তুমি এতক্ষণ? তাও আবার এই রোদে সারাদিন ওই টিনের চালের নিচে! তুমি ওরকম থাকলে আমার আরও টেনশন হবে।" অরিন্দম মেসেজ করে বলল। --"আমি অপেক্ষা করব সেটা আমার ব্যপার। তুমি চিন্তা করছ কেন? তুমি কাজ শেষ করে বেড়াও। আর হ্যাঁ, আমি তোমাকে জালাব না আজকে। কিন্তু আমি আছি। এখানেই।" জেদ দেখে অরিন্দম বেশি কিছু বলল না। আবার কাজের ভিতরে ঢুকে পড়ল। কাজের মধ্যে তিন বার নানান কারণে ওকে এদিক ওদিক থেকে লোকেরা ডেকে নয় কথাও নিয়ে যাচ্ছে আর নয় গল্প দিচ্ছে। অরিন্দম সময়ের হিসাব লাগিয়ে যাচ্ছে আর প্রত্যেক বার ওর যাওয়ার মেয়াদ বেড়েই যাচ্ছে। ২ ঘন্টা পেরোতে একবার মেসেজ করল প্রিশা কে --"প্লিজ় প্রিশা। এই ভাবে বসে থেকো না। বাড়ি যাও।" --"আমি আছি। ব্যস!" ©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #bengalistory #Firstpart
#anantadasgupta #bengalistory #Firstpart
read moreAnanta Dasgupta
আদেশ ঘরে ঢুকল আর প্রত্যেক দিনের মত ও কোনো সারা শব্দ না করে ব্যাগ রেখে নিজের রুমে চলে আসল। বুক পকেট থেকে রুদ্রাক্ষ বের করে মায়ের কাছে গেল আর বলল। --"মা, এইটা ঠাকুরের সামনে রেখে দাও।" --"কিন্তু তোকে কে দিল রুদ্রাক্ষ?" --"রাস্তায় জল ছিল বলে একটা লোক ছেড়ে দিয়ে গেল। সেই দিয়েছে।" বাকি বৃত্তান্ত আর বলল না। ভিতরে ও যে ভাবে ছটফট করছে সেটা একমাত্র ওই জানত। আদেশ ভয় পাচ্ছে যদি ওর চোখের এক ফোটা জল ওর বাবা মা দেখে তাহলে ওদের মনে কষ্ট হবে। ছেলে হিসাবে আদেশ করতে পারবে না সেটা। মাথা নিচু করে নিজের চোখে জল দিল তখন চোখে লাল দেখে ওর বাবা জিজ্ঞাসা করে। --"হ্যাঁ রে! তোর চোখ এত লাল কেন?" --"বৃষ্টি তে ভিজেছি তাই হয়তো।" একটু ভারিক্কি গলায় বলল আদেশ। আদেশ প্রনাম করতে গিয়ে ঠাকুর স্থানের শিবলিঙ্গ কে ভালো করে দেখল কিন্তু চোখে জল আসতে আবার ঝাপসা হয়ে গেল। আদেশ নিজেকে চাপা রাখতে পারছে না। খুব কষ্ট করে উঠল আর খাওয়ার চেষ্টা করল কিন্তু দু গাল খাওয়ার পড়েই বমি করে ফেলল। --"কি হয়েছে? শরীর খারাপ করছে বাবা?" আদেশের মা থালা রেখে ছুটে আসল। ওর হাত পা কাঁপছে, শরীর দুর্বল আর মনে এক পাহাড় সমান কষ্ট। যেহেতু বলতে পারবে না, তাই আরও ভেঙে পড়ছে। --"তোমরা শুয়ে পড়। আমার কাজ আছে অফিসের।" --"তোর যা করার কালকে করবি। এই ভাবে ভিজে, তার পর রাত জেগে শরীরে আবার অসুখ বাঁধাবে।" আদেশের বাবা কথাটা খুব রুঢ় ভাবে বলতে আদেশ তাকাল কিন্তু কিছু বলল না। ল্যাপটপ খুলে কাজে বসে পড়ল। কিছুক্ষণ পরে সবাই শুয়ে পড়ল। রাত বাড়তে বাড়তে বেড়ে যাচ্ছে আদেশের ঝড়। হঠাৎ করে দিপ্তির একটা ছবি তে ক্লিক হয়ে গেল, দুজনে পাশাপাশি বসে। তারাতারি বন্ধ করে ল্যাপটপ সাইড করে আদেশ লাইট বন্ধ করে দিল। ওর শ্বাস কষ্ট বেড়েই চলেছে। নিজের চারপাশের অন্ধকার কে ভালো করে দেখল। আর যেন ঝড় আটকাতে পারেনি, হাঁটু গেড়ে জড় হয়ে নিজের শরীর ফেলে দিয়ে অন্ধকারে কাঁদছে আদেশ। মনের ভিতরে সমস্ত স্মৃতি উথাল পাথাল খাচ্ছে কিন্তু ওর ব্যথা কমছে না। মাঝখানে একবার কুঁকিয়ে উঠল কিন্তু ভয় মুখে হাত চাপা দিয়ে দিল যাতে কেউ সারা না পায়ে। আদেশের শরীর ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে যাচ্ছিল। নিজের ভার সামলানোর জন্য যখন আদেশ হাত পিছনে রাখে, তখন হাতে কিছু পড়ল। আদেশ ধরে বুঝতে পাড়ল রুদ্রাক্ষ টা ওখানে। ©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #shivaay #bengalistory #part2
#anantadasgupta #shivaay #bengalistory #part2
read more