Find the Best bengaliquote Shayari, Status, Quotes from top creators only on Nojoto App. Also find trending photos & videos aboutlove poem for her i miss you in bengali, love shayari in bengali for girlfriend, sad quotes of love in bengali, love quotes in bengali for girlfriend, love quotes for her in bengali,
Nisar Ka Gyan
Unsplash রূপ দেখে কি হবে যদি মনটাই হয় ড্রেনের জল। ©Nisar Ka Gyan Rup #Bengali #BengalBurning #bengaliquote #library
Rup #Bengali #BengalBurning #bengaliquote #library
read moreAnanta Dasgupta
রুদ্রাক্ষ টা হাতের মুঠোয় রেখে নিজের বন্ধুর কথা ভেবে খুব কাঁদছে। --"শিব...... স.. দা.... স... হা... য়তে।" ভারি নিঃশ্বাসে প্রথম বার এত কষ্ট তে আদেশ ডাকল যাতে। হঠাৎ আদেশের মনে পড়ল রুদ্রাক্ষ তো ওর মা ঠাকুর স্থানে রেখেছিল। মাথা তুলে দেখতেই ওর মুখ হাঁ হয়ে গেল। একটা ছায়া রুপে আকৃতি, কর্পূরের মত গন্ধ আর বাঘের চামড়ার আবরণ। তার দুটো হাত আদেশ কে ধরে তুলল। সামনে আসার পর আদেশ দেখল তার সামনে সেই দাঁড়িয়ে যে ওকে বাঁচিয়ে ছিল। শিবায়! --"বলেছিলাম না আরেকটা ঝড় আসবে।" আদেশ এইটা শুনতেই ওকে জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদছে। অনেক বছরের চাপা কষ্ট যেই ভাবে বেড়ায়, আদেশ ঠিক সেই ভাবে শিবায় কে ধরে রেখেছে। চিতকার করছে আঁকড়ে ধরে আর শিবায় ওর মাথায় হালকা করে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। --"শান্ত হও। এবার শান্ত হও। আমি এসছি তো।" শিবায় ধরে এক জায়গায় বসাল। --"কেন? এরকম কেন আমার সাথে?" --"তুই যার কথা বলছিস, সে তোকে কখনই চায়নি।" শিবায় বলল আর আদেশ হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে গেল। --"হ্যাঁ। দিপ্তি তোর ভালো চেয়েছে কিন্তু তোকে চায়নি। আর আমি এইটা তোকে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়, ওর থেকে গুরুতর জিনিসের জন্য এসেছি।" --"মানে?" --"যেই কষ্টটা নিয়ে চলছিস সেটাকে বহন কর। ভার ওঠা এই বিষের আর এগিয়ে চল। মনে রাখিস নিজেকে একা ভাববিনা। কষ্ট তোকে আমার কাছে নিয়ে এসেছে, হয়তো তোকে পাল্টেও দিতে পারে কিন্তু মনে রাখিস তুই নিজের মনে কখনো খারাপ কিছু আনবি না।" --"যদি সবকিছু জানতে তাহলে পাঠালে কেন ওকে আমার কাছে?" --"সব কারণ বলা যায়না বন্ধু। আজ যদি দীপ্তি না থাকতো তাহলে আমি তোর সামনে এসে দাঁড়াতাম না। কে কোন কারণে আসে, সেটা বলা যায়না। প্রত্যেক ঘটনা একটা অন্য ঘটনার সুত্রপাত হয়। মনে রাখিস।" --"প্রত্যেক কষ্টের আর প্রত্যেক মনস্তাপের একটা সময় থাকে। তোর বন্ধু তে আমি শিবায়। তোর জীবন যুদ্ধে আমি কৃষ্ণ।" আদেশ সব শুনছে চুপচাপ। মন শান্ত হয়েছে কিন্তু কষ্টের এক ভাগ রয়ে গেছে। --"আমি কি করবো এখন?" --"নিজের কষ্ট কে নিজের অস্ত্র বানা। নিজের অন্ধকারের সাথে লড় ততক্ষন যতক্ষণ জিৎ তোর না হয়। সামনে অনেক কিছু ঘটতে চলেছে যা তোর কাছে অজানা। নিজের দায়িত্ব পুরো করতে থাকে আর বলতে থাক" --"শিব সদা সহায়তে।" ©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #bengaliquote #shivaay
#anantadasgupta #bengaliquote #shivaay
read moreAnanta Dasgupta
White তুমি রাতের জ্যোৎস্না, আলোর মত আছ আমার অন্ধকারে রয়েছ কিন্তু একটা সময় ওবধি। তুমি কখনো গল্প, কখনো কবিতা, কখনো আবার লেখায় আছ আমার ইচ্ছায় রয়েছ কিন্তু একটা সময় ওবধি। শ্রেষ্ঠ কল্পনায় আছ, ভেজা চোখের স্বপ্নে আছ আমার সত্য জীবনে রয়েছ কিন্তু একটা সময় ওবধি। জানি! তোমার অনেক সীমানা আছে, মেনে নিলাম। জানি! অনেক কারণে ঘিরে ধরা তোমার ব্যস্ত জীবন, মেনে নিলাম। জানি! দেখা না পাওয়ার কারণ তোমার চারপাশের দেয়াল, মেনে নিলাম। সেই দেয়ালের বাইরে আমি ঘুরপাক খাওয়া এক পাগল। বেয়াদবি এতটা কি একবারে টেনে নিয়ে চলে যেতে পারে। ধৈর্য এতটা কি নিঃশব্দে শুধু অপেক্ষা করতে পারে। ©Ananta Dasgupta #love_shayari #Bengali_poem #bengaliwriting #bengaliquote
Ananta Dasgupta
হে গঙ্গা! বয়ে চলেছ তুমি শহরের পাস থেকে, শুধু বয়ে যাচ্ছ। কেন? কেউ রক্তে লাল হচ্ছে আর হাঁসছে পাশবিকতা, তুমি বয়ে যাচ্ছ। কেন? তোমার সামনে আগুনে দাহ করা হল, ভাসিয়ে দেয়া হল তোমার কোলে। তুমি নিরবে ধারণ করে নিলে সেই অস্থি আর বয়ে চলেছ। কেন? তুমি দেহ শুদ্ধ করলে কিন্তু সেই দেহ কারণ হল অপবিত্রতার। ওই অপবিত্রতার তুমি দেখলে নিরবে, তুমি বয়ে যাচ্ছ। কেন? আজ তোমার কিনারা ধরে পথে নেমেছে অনেক রাগ, অনেক প্রশ্ন। তুমি সবকিছু জেনে আসলে না, তুমি বয়ে যাচ্ছ। কেন? হুঙ্কার দাও নিজের স্রোতের, ভেঙে দাও সমস্ত ব্যবধান। এই অন্যায়ের জন্য তুমি শুরু কর যুদ্ধের অভিযান। ডুবিয়ে দম বন্ধ কর তাদের যারা অন্যায়ের সাথে দাঁড়িয়ে। অ্যাসিডে বদলাও নিজেকে, দাও হাড় অবধি জ্বালিয়ে। যদি বইতে তাহলে প্রলয়ের মত করে এবার বয়ে যাও। রুদ্র রুপ ধর নিজের, ছিন্ন ভিন্ন করে এগিয়ে যাও। আশা হারিয়ে যাচ্ছে দেবী, বিচার এবার শাস্তি দাও। নিজের হাতে বিচার নিয়ে তুমি তিলোত্তমা কে শান্তি দাও। ©Ananta Dasgupta #nojotopic #kolkatacase #JusticeAndRevenge #RGkar #revolution #anantadasgupta #Bengali_poem #bengaliquote
Ananta Dasgupta
দিনের শুরু বেশ ভাল হয়েছে আজ। চোখ খুলতেই ওর নাম মনে আসা টা তো স্বভাবিক হয়ে গেছে এখন কিন্তু আজ দেখলাম ওর ইনবক্সে তিনটি ছবি। কৌতূহল হল, হয়তো নিজের ছবি পাঠিয়েছে। কিন্তু না, একটা গল্প, ওর নিজের হাতের লেখা। হাতের লেখা আগাগোড়াই খুব সুন্দর, কিন্তু ও মানে না। গল্পটা পড়লাম, রচনা খুব সুন্দর করেছে। তার পর মনে পড়ল এবার উঠতে হবে। ঘরের সব কাজ করে বেড়াতে হবে। অভ্যাস আছে বলে বেশি দেরি হয়নি কিন্তু পুজো করতে সময় লাগে। সব কাজ গুছিয়ে বেড়াতে দেরি হয়ে গেল। অফিসে জানিয়ে দিয়েছি কিন্তু আমার যেতে দেরি মানে আসতেও দেরি আর যদি আসতে দেরি হয় তাহলে আমার জন্য সেই দিনটা পুরো নষ্ট। ঘড়ি তে ৯:৫১ তখন আমি বেড়োলাম, হাতে কাঁটায় কাঁটায় ৯ মিনিট বস স্টপ পৌছতে। তাহলে একটা আশা আছে কি ওকে এক ঝলক হলেও দেখতে পাবো। মেসেজ করে জিজ্ঞাসা করলাম কথায় আছে। জানলাম, ওর আসতে সময় লাগবে কিন্তু যতক্ষণ ও আসবে ততক্ষণ তো আমার শাটল অনেকটা এগিয়ে যাবে। মাথায় অনেক হিসাব লাগালাম কিন্তু কিছু করেও মিল পেলাম না। বাধ্য হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, যদি ওর সন্ধের সময় একটু সময় হয়। অনেক সময় গেছে যেখানে কাজের চাপে ওর লেট হয়ে গেছে। কিন্তু এটাও বৃথা হয়ে গেল যখন বলল ও নাকি আজ তারাতারি বেড়িয়ে যাবে ওর বাড়িতে লোক আসবে বলে। ব্যস্ত মানুষ দের কাছে সময়ের খুব অভাব। তাদের কাছ থেকে সময় পাওয়া মানে কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেয়ে যাওয়া। সমস্ত কাজ সেরে যদি তারা ক্লান্ত না হয়ে থাকে তাহলে একটু সময় পাওয়ার সৌভাগ্য পাওয়া যায় না হলে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেল আর পরের দিনের অপেক্ষা কর। আমি দেখলাম আমার হাতে কিছু নেই আর তা ছাড়া এটাও বুঝলাম কি আমার হাতের মুঠো থেকে বালির মত সময় আসতে আসতে বেড়িয়ে যাচ্ছে। সেটা আমার কাজ হোক কিংবা আমার হাতে গোনা কিছু দিন যেখানে আমি বাঁচতে পারব। ©Ananta Dasgupta #bengaliquote
Ananta Dasgupta
ফাঁকা (Part 6.1- The influence) ©Ananta Dasgupta #flowers #bengaliquote #bengalistory #anantadasgupta
#flowers #bengaliquote #bengalistory #anantadasgupta
read moreAnanta Dasgupta
অয়ন কাজ গুটিয়ে বার বার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে। হিসাব লাগাচ্ছে কতক্ষন কোন কাজ টা করলে তারাতারি বেড়াতে পারবে। সেই দিনের ঘটনার পর ঈশা চাকরি তো পেয়ে গেছে কিন্তু সেই জায়গায় না যেখানে সে চেয়েছিল। ঈশার ঘর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার এর মধ্যেই তাকে অন্য অফিস দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে দুজনের দেখাও হয়েছে। আর তার পর থেকে অয়ন তারাতারি বেড়ানোর জন্য ছটফট করে। প্রায় বেশির ভাগ ও ব্যর্থ হয়েছে নিজের চেষ্টায়। আজও তাই মনে হচ্ছে। অয়ন যদি সময় করেও বেড়ায় তাহলেও অনেক সময় লেগে যায় যেখানে ট্রাফিকের জন্য ও সময় পৌছতে পারে না। তা ছাড়া অয়নের ভিতরে এক অন্য রকম পরিবর্তন শুরু হয়ে গেছে। কাজে কোনো ত্রুটি নেই কিন্তু খুব ক্লান্ত থাকে, সারা দিন না খেয়ে এক জায়গায় বসে থাকে, মাঝের মধ্যে রেস্ট রূমে গিয়ে ১৫ মিনিটের একটা ন্যাপ নিয়ে ন্যায়। খাওয়ার বদলে ওর কাছে একটাই খাদ্য আর সেটা হলো ওর সিগারেট। সবার সাথে কথা বলছে, কিন্তু ও প্রকৃত অর্থে কারোর সাথে নেই, নিজের মধ্যে কোথাও হারিয়ে। সঙ্কল্প অনেক দিন ধরে অয়নের ভিতরে এই নতুন পরিবর্তন লক্ষ্য করে। প্রথমে খুশি ছিল অয়ন কে তারাতারি বাড়ি যেতে দেখে। কিন্তু একদিন যখন জানতে পারে কি অয়ন বাড়ি পৌছায়নি তখন ওর সন্দেহ হয়েছে। "এই আমি এগোলাম। কাল দেখা হচ্ছে। ক্লাইন্ট কে ফাইল টা পাঠিয়ে আমাকে সি.সি তে রাখিস। আমি কালকে রিভিউ করে নেব।" অয়ন এটা বলে সঙ্কল্পের পিঠ চাপড়ে এগিয়ে গেল। ওর ধ্যান তখনও মোবাইলে। ঠিক ১০ মিনিট পরে অয়ন ব্যাগ নিয়ে আবার ফিরে এসেছে। মনে হচ্ছে কিছু হয়েছে, কিন্তু কি সেটা একমাত্র অয়ন জানে। ©Ananta Dasgupta #bengalistory #bengaliquote #bengaliwriting #Emotions #emptiness
Ananta Dasgupta
আজ খুব ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। ঘর থেকে এক্ষুনি ফোন আসল তারাতারি কাজ সেরে চলে আসতে। অনেক জিনিস মাথার মধ্যে ঘুরছে। অফিসের সমস্যা, কখন বেড়াতে পারব, ঘরে গিয়ে আবার সেই কাজ করতে হবে আর তার পর তাকিয়ে থাকো দেয়ালের দিকে। তার মাঝে ফোনের দিকে আমি জানিনা কতক্ষণ ধরে তাকিয়ে। কোনো কল আসছে না, কোনো মেসেজ আসেনি। বিকেলে আমাকে একজন জিজ্ঞাসা করেছিল- "তোমার ছুটি কখন হয়?" এই প্রশ্নের সম্মুখীন ইদানীং আমাকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে হতে হচ্ছে। হয়তো ওর মনে হয়েছে আমি ওকে এড়িয়ে যাচ্ছি কিন্তু তা নয়। নিজেকে কাজের মধ্যে এতটাই ঢুকিয়ে দিয়েছি কি নিজের দিকে দেখা ভুলে গেছি। অনেক বার আলাদা আলাদা ভাবে ও বলে গেছে কিন্তু আমার আর ওর সময় এত আলাদা কি আমি যদি একদম সময় করেও বেড়াই তাহলেও আমাদের কোনো দেখা হবে না। এই কথাটা ওকে বলেছিলাম। জানিনা কতটা বুঝেছে কিন্তু যখন যখন "ওকে" লিখত তখন তখন ভাবতাম- "কত বার বলেছি, নিজের মনের কথা এত চেপে না রাখতে। সারা রাজ্যের কথা বলত কিন্তু যখন চুপ হয়ে যেত তখন শুধু একটা কথা- বাদ দাও, ছাড়ো।" আমি নিজের মধ্যে থেকে বেড়িয়ে আবার একই কথা লিখলাম- "আমার ছুটি হতে দেরি আছে।" প্রায় ১০-১৫ মিনিট কোনো রিপ্লাই নেই। তার পরে একটা মেসেজ আসে "আমি তোমাকে রোজ বলতে থাকি।" ব্যস তারপরে এবার আমাকে ভেবে নিতে হবে। এইটা ও প্রায় করে এসেছে আমার সাথে। কিছুটা বলে ছেড়ে দেয, স্পষ্ট কথা না। বাকি এবার বুঝতে হবে। আগে ওকে বলেছিলাম- "মাঝে মাঝে ভাবি, তোর সাথে কথা বলা কম, কে.বি.সি খেলা বেশি হয় আমার।" যা যাবতীয় জিনিস ছিল ব্যাগে রেখে হন হন করে দৌড় মারি। ঘড়ি তে তখন ৬:৩৫. ওকে বললাম- "আজ বস থেকে নেমে ওয়েট করবি। আমি বেড়িয়ে গেছি।" "আমি কতক্ষণ দাড়াবো। রাত ৯ টায় বাড়ি যাবো?" বৃষ্টি হচ্ছিল ভালোই জোরে। এদিকে আমার বস সেই এক জায়গায় আধা ঘন্টা ধরে দাড়িয়ে। "আজ তাও থাকবি।" আমি এখনও জানিনা আমি কি ভাবে জোর খাটিয়ে ওকে বললাম কেননা এত বছরে আমি কখনো ওকে জোর করে থাকতে বলিনি। একবার থাকার কথা বলেছিলাম কিন্তু সেটা অন্য কারনে, যেটা হয়েনি। আমি ভাড়া দিয়ে বস থেকে নামলাম আর দেখলাম আগের একটা স্টপেজে একটা ম্যাজিক গাড়ি দাড়িয়ে কিন্তু ফাঁকা। সিগন্যাল খোলার আগে দৌড় মারলাম, দেখলাম ৭:২২। ও আমার খোঁজ নিয়ে যাচ্ছে। কল করে বললাম- "আমি শাটলে উঠেছি, আশা করি এসে যাবো তারাতারি।" ফোন রেখে মেসেজ দেখলাম, দেখি লিখেছে- "আসতে প্রায় এক ঘন্টা লেগে যাবে।" ভুল বলেনি কথাটা কেননা এই সময় রাস্তায় প্রচুর ভির থাকে। আরও আধা ঘন্টা শুধু একটা প্যাসেঞ্জারের জন্য দাড়িয়ে থাকল। ৮:০০ বেজে গেছে। ©Ananta Dasgupta #anantadasgupta #bengalistory #bengaliquote
#anantadasgupta #bengalistory #bengaliquote
read moreAnanta Dasgupta
প্রায় আধা ঘন্টা হয়ে গেল অভ্র অপেক্ষা করছে। মনে মনে ভাবছে- "এতক্ষণ হয়ে গেল কিন্তু এখনও কোনো খবর নেই। সেই কখন বলেছিল বেড়িয়ে গেছি।" ওদিকে দোয়েল বাসের মধ্যে সিগন্যাল খোলার অপেক্ষায়- "এতদিন পরে দেখা হচ্ছে তার সাথে, দেখি কেমন আছে।" বাস এসে দাড়াল অভ্রের সামনে। দোয়েল নেমে দেখে একটা ক্লান্ত চেহারা বাস থেকে নামা প্রত্যেক যাত্রীদের দেখছে। দোয়েল আরেকটা দরজা থেকে বেড়িয়ে তারাতারি অভ্রের পিছনে এসে বলে- "কাউকে খুজছেন?" অভ্র পিছনে ঘুরল কিন্তু কিছু বলতে পারল না। শুধু মুখে একটা হাঁসি। দোয়েল নিজের মনের আবেগ চাপতে পারে যেখানে অভ্র কাচা। কিন্তু আজকে ব্যপারটা পুরো উলটো। অভ্র কে দেখে সে বেশি কিছু বলতে পারছে না। এমনিতে দুজনের টুকটাক কথা হয় কিন্তু এখন তো দুজনেই ভুলে গেছে যে কত দিন পর দেখা হচ্ছে। তাও এটা হল কেননা দোয়েল শহর বদল করবে। তারপর কে কোথায় থাকবে, কেউ জানে না। কেমন আছো, কি করছ.. এই সবের আদান প্রদানের পরে দুজনেই চুপ। অভ্র প্রায় ৭ নম্বর সিগারেট শেষ করে ফেলল কিন্তু দুজনের আর কোনো কথা নেই। মাঝের মধ্যে একটু চোখাচোখি হচ্ছে। দুজনে হাঁটতে হাঁটতে ঘাটের কাছে সিড়িতে এসে বসল। "এইটা তোমার জন্য।" দোয়েল কাগজের একটা ছোট্ট টুকরো দিল অভ্র কে। অভ্র সেটা খুলতে যাবে তখন হাতটা ধরে বলে- "ধৈর্য এত কম কেন তোমার? কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে পারবে না?" হঠাৎই অভ্র হাঁসতে শুরু করল, হাঁসিটা অন্যরকম। হাঁসতে হাঁসতে বলল- "যদি তুই আমার ধৈর্য দেখতে চাস তাহলে, কখনো ভালো করে আমাকে দেখবি। বুঝবি হয়তো অপেক্ষা কাকে বলে।" "তোমার কি এরকম মনে হয় কি আমি কিছু বুঝি না।" দোয়েল জিজ্ঞাসা করাতে অভ্র কিছুক্ষন ওর দিকে তাকাল কিন্তু আজও দোয়েলের চোখে ও সেই মায়া দেখতে পায়। "বুঝেছি, তাই চুপ আছি। কেননা কিছু করার নেই। না তোর কোনো টান আছে আমার জন্য আর না ভালোবাসা। আমি বলছি না, তোর এই কথা গুলো মনে বাজে। তুই অন্য পথ বেচে নিয়েছিলি। আজ অন্য শহর বেচে নিয়েছিশ। কাল অন্য দেশ বেচে নিবি।" অভ্রের কথার কোনো উত্তর দিল না। হয়তো ছিল কিন্তু দোয়েল দিতে চায়নি। শুধু তাকিয়ে ছিল ওর দিকে। "চাপ নিস না। আমি বুঝবো। সবাইকে বুঝতে বুঝতে নিজেকেই আর বুঝতে পারছি না। তবে তোর কোনো অসুবিধা হবে না। তুই যা যেখানে ও নিয়ে যাচ্ছে।" অভ্র শেষ সিগারেট জ্বালালো। একদিকে অভ্র দেখছে আকাশে সুর্যের শেষ রং আর দোয়েলের চোখ আছে চাঁদের দিকে। একজনকে যেতে হবে তবেই আরেকজন সামনে আসবে। "তুমি ভাবছো আমি চলে গেলে সব শেষ হয়ে যাবে?" দোয়েল অভ্রর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করল। "ভাবি আমি অনেক কিছুই কিন্তু এক ভাগ বলি কি না সন্দেহ আছে।" "সমস্ত রকমের কথা লোককে বোঝাতে পারো কিন্তু নিজের বেলায়..." "পারি না।" অভ্র কথার মাঝেই বলে উঠলো। "আমার নিজের সাথে এই যুদ্ধ চলতে থাকবে কেননা আমি ভুলতে শিখিনি।" দোয়েল অভ্র থেকে মুখ সড়িয়ে আবার আকাশে চাঁদের দিকে তাকিয়ে। ©Ananta Dasgupta #nojotostory #bengaliquote #bengalistory #anantadasgupta #separation
Ananta Dasgupta
White একটি চিঠি লিখে কখনো বোতলের মধ্যে রেখে ফেলে দেব। তুমি তো সমুদ্র ভালোবাসো। দেখাই যাক, এই পাগলামি তে চিঠি তোমার কাছে পৌঁছায় কি না! ©Ananta Dasgupta #SunSet #anantadasgupta #bengaliquote #incompletelove #bengaliwriting